রিভিউ টপিক : আজকের রিভিউটিতে আমি হানিফ বাস ভ্রমণ করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে সিলেট ১৫ ঘন্টার জার্নি অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আমার এই রিভিউটি আপ্লোড করা হয়েছে journeykothabd ওয়েবসাইটে এবং এইটা বাস জার্নি রিভিউ - ০১
ছবি কারিগর - সৈকত ও রাজিবুল ইসলাম |
রিভিউ ক্যাটাগরি : বাস ভ্রমণ
রিভিউ নাম্বার : ০১
বাস কোম্পানীর নাম : হানিফ এন্টারপ্রাইজ
বাসের রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার : ঢাকা মেট্রো-ব ১৫-৬৬৬২
রুট : চাঁপাই - রাজশাহী - সিলেট
ভ্রমণের তারিখ : ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২
চাঁপাই- সিলেট বাস জার্নি রিভিউ - ০১
আসসালামুয়ালাইকুম, আশা করি সবাই ভালো আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় অনেক বেশি ভালো আছি, আজকে আপনাদের সাথে আমি আমার লাইফের সবচেয়ে সুন্দর ও রোমাঞ্চকর একটা বাস ভ্রমণ শেয়ার করবো। এই ভ্রমন অভিজ্ঞতাটা একটু বড় হতে পারে আশা করি আপনারা পুরো আর্টিকেলটা পড়বেন এবং আপনাদের অনেক ভালো লাগবে তাই পুরো ভ্রমণটি সম্পর্কে জানতে এই আর্টিকেলটি সম্পুর্ন পড়তে ভুলবেন না কিন্তু। যাই হোক মুল রিভিউতে আসি। আমার নাম মোহাম্মদ আজহার, আমার দেশের বাড়ি বা দাদার বাড়ি রাজশাহী বিভাগের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায়। পড়ালেখার খাতিরে আমি সিলেটে থাকি আমার পরিবারের সাথে। আজকে আমি আমার দাদা বাড়ি তথা চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে সিলেটে আসার সম্পুর্ন ভ্রমণ অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো : আজকের রিভিউয়ের জার্নিটা আমি আজ থেকে প্রায় দেড় বছর আগে করেছিলাম, তারিখটা ছিলো ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২। আমাদের বাস ছাড়ার কথা ছিলো বিকাল ৫ টা ৩০ মিনিটে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ঢাকা বাস স্টান্ড থেকে, তাই আমরা আমাদের দাদা বাড়ি থেকে বিকেল ৩ টা ৩০ এর সময়ই বের হয়ে যাই, কারন আমার দাদা বাড়ি থেকে বাস টার্মিনালে আসতে প্রায় এক থেকে দেড় ঘন্টা সময় লেগে যায়।
বিকাল ৪ টা ৪৫ এর সময় আমি এবং আমার আব্বু - আম্মুসহ আমরা হানিফ এন্টারপ্রাইজ এর চাঁপাইনবাবগঞ্জ কাউন্টারে চলে আসি। আর বলে রাখা ভালো আমি একজন বাস লাভার, ছোটবেলা থেকেই বাসের প্রতি আমার আলাদা ধরনের একটা ভালোবাসা কাজ করে। এর পরিপ্রেক্ষিতেই আমি যখনই কোন জেলার বা বিভাগের বাস টার্মিনালে যাই তখনই আমি বাস দেখতে পুরো বাস টার্মিনালে ঘুরে বেড়াই যতোটুকু সময় ফ্রি থাকি ততোটুকু সময় আর কি।
আমি চাঁপাইনবাবগঞ্জ বাস টার্মিনালে ঘুরতে ঘুরতে আমাদের ট্যুরমেট অর্থাৎ যেই বাস দিয়ে আমরা চাঁপাই থেকে সিলেট আসবো, সেই বাসটাকে পেয়ে যাই। আর যেহেতু হাতে প্রায় ৩০ মিনিটের মতো সময় ছিলো, সেহেতু আমার মাথায় একটা কু বুদ্ধি চলে আসে এবং আমি আমার ইউটিউব চ্যানেলের জন্য একটা বাস ভ্রমনের ভিডিও করার চিন্তা শুরু করে দেই। যেই চিন্তা সেই কাজ আমি ভিডিও রেকর্ড করা শুরু করে ফেলি। আমার ইউটিউব চ্যানেলে সেই ভ্রমণের অভিজ্ঞতার ভিডিওটা আছে, আচ্ছা যাই হোক ভিডিও রেকর্ড করার সময় আমি আমাদের ট্যুরমেট তথা হানিফ এন্টারপ্রাইজ এর ঢাকা মেট্রো-ব ১৫-৬৬৬২ বাসের স্টাফদের সাথে প্রথমেই পরিচিত হয়ে নেই।
সেদিন আমাদের বাসে ড্রাইভার হিসেবে ছিলেন একজন বয়স্ক আংকেল, হেল্পার হিসেবে ছিলেন একজন যুবক। উনাদের নাম আমি এখানে বলবো না কারন আমার ইউটিউব চ্যানেলে উনাদের সব ধরনের ডিটেইলস দেয়া আছে, এই আর্টিকেলটার শেষ অংশে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো নে, আমার ভ্রমনের সেই ভিডিওগুলো কিভাবে দেখবেন তার রাস্তা। আচ্ছা যাই হোক আবারো মুল কথায় ফিরে আসি, আমাদের বাসের ড্রাইভার ও হেল্পার ২ জনের বাসাই সিলেটে। আর যিনি সুপারভাইজার হিসেবে ছিলেন উনার বাসা ঢাকায়। আমি আমার ভ্রমণ ভিডিও রেকর্ড করার জন্য আমার ক্যামেরা সেট-আপ করে নেই এবং ভিডিও শুট করা শুরু করে দেই। ভিডিও শুট করার পর আবারো আমি বাস কাউন্টারে ফিরে আসি এবং বাস কাউন্টার থেকে ঢাকা মেট্রো-ব ১৫-৬৬৬২ বাস তথা চাঁপাই-সিলেট বাসের যাত্রীদের উদ্দেশ্যে বাসে উঠার জন্য বলা হয় কারন তখন সময় ৫ টা ২৫ বেজে গিয়েছিলো।
বাসে কখন উঠলাম ?
যাই হোক আমি, আমার আব্বু-আম্মুসহ বাসের সকল প্যাসেঞ্জার বাসে উঠে নিজ নিজ সিটে বসে যাই। বলে রাখা ভালো, আমরা ৩ জন সহ বাসে মোট ৮/৯ জন্য যাত্রী নিয়েই আমাদের বাসটি চাঁপাইনবাবগঞ্জের ঢাকা বাস স্টান্ড থেকে আমাদের গন্তব্য তথা সিলেটের উদ্দেশ্যে রওনা করে।
যাই হোক, আমাদের বাস চলতে শুরু করে আর আমি বাসে উঠেই আমার একজন বন্ধুকে কল দেই, এই রিভিউটি আপ্লোড করা হয়েছে journeykothabd ওয়েবসাইটে। ওর নাম সাকলাইন আহমেদ শুভ, ও রাজশাহীতে থাকে এবং বলে রাখা ভালো শুভও আমার মতো বাস লাভার। আমি মুলত শুভকে কল দেয়ার কারন হলো রাজশাহীতে ওর সাথে দেখা করার কথা ছিলোতো তাই। সো আমি শুভকে বলি, "শিরোইল বাস টার্মিনালে চলে আসতে এবং আমাদের আর এক ঘন্টা লাগবে রাজশাহীর শিরোইল বাস টার্মিনালে পৌছাতে "। প্রায় এক ঘন্টা পর আমি শিরোইল বাস টার্মিনালে নেমে যাই, নেমে শুভ এবং ওর আরেকজন ফ্রেন্ড ছিলো উনার সাথে দেখা করি। প্রায় ১০ থেকে ১৫ মিনিট আমরা আড্ডা দেই। আর আমার ট্যুরমেট তখন রাজশাহী বাস কাউন্টারের সামনে দাড়ায়ে ছিলো রাজশাহীর যাত্রীদেরকে তোলার জন্য।
যাই হোক, প্রায় ৬ টা ৪৫ মিনিটের সময় আমার বন্ধু শুভকে বিদায় জানিয়ে আবারো বাসে উঠে যাই। এবং রাজশাহী থেকে আমাদের বাস আবারো যাত্রা শুরু করে সিলেটের উদ্দেশ্যে। বাসে উঠেই আমি আমার সিটে যেয়ে বসে যাই। অত:পর রাজশাহীর সুন্দর রাস্তাগুলো আমি উপভোগ করতে থাকি। আসলেই রাজশাহীকে ক্লিন সিটি বলা ১০০% যুক্তিক, কতো সুন্দর রাস্তা, কতো সুন্দর পরিবেশ। আমার কাছে অনেক ভালো লাগে রাজশাহী বিভাগটাকে। অনেক প্যাচাল পাড়লাম এখন আবারো আমি আমার রিভিউতে ফিরে আসি, এখন হয়তো সময়ের কিছুটা গরমিল হতে পারে। আপনারা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেইখেন।
১ম হোটেল বিরতিতে কি করলাম?
রাজশাহী থেকে বের হওয়ার পর আমাদের বাস অনেক ভালো ভাবেই টান শুরু করে, ওস্তাদ খুবই সুন্দর ভাবে ড্রাইভ করেছেন। কিচ্ছুক্ষণ পর আমরা নাটোর বাস টার্মিনালে এসে থামি এবং এইখানে প্রায় ১০/১৫ মিনিট বাস থামানো ছিলো। আমি বাস থেকে নেমে ভিডিও রেকর্ড করি আমার ইউটিউব ভিডিও এর জন্য। রেকর্ড করার পর আমি কিছু খাবার কিনি ( চিপ্স,ফ্রুটো,এক বোতল পানি)। যাত্রী উঠানোর পর আবারো আমাদের যাত্রা শুরু হয় এবং আমরা নাটোর বাস টার্মিনাল থেকে বের হয়ে যাই।
নাটোর বনপাড়া বাইপাস হয়ে আমরা নাটোর ত্যাগ করি এবং সিরাজগঞ্জের দিকে অগ্রসর হতে থাকি। প্রায় ১ ঘন্টা পর আমাদের বাস সিরাজগঞ্জে একটা ছোট হোটেলে ব্রেক দেয়। হোটেলটার নাম হলো - জনতা হোটেল। ওইখানে প্রায় ৩০ মিনিট ব্রেক দেয়, এবং এই সময়টার মধ্যে আমি আমার ভিডিও এর জন্য কিছু ফুটেজ রেকর্ড করে ফেলি। এর পর আবারো আমাদের যাত্রা শুরু হয় এবং আমরা বাংলাদেশের ২য় বৃহত্তম সেতু বা যমুনা সেতুতে উঠি ( বঙ্গবন্ধু ব্রীজ)।
বাংলাদেশের ২য় বৃহত্তম সেতু বা যমুনা সেতুতে
ব্রিজের উপরের ওঠার কিছু আগে আমি বাসের সামনে বনেটে চলে আসি এবং সেতুর ভিডিও রেকর্ড করি। যাই হোক, সেতু ক্রস করার পর আমি কিচ্ছুক্ষণ বনেটেই বসেছিলাম। তারপর আমি আমার সিটে চলে যাই এবং কিছু সময় রেস্ট নেয়ার চেষ্টা করি। অত:পর রাত ১ টা ১০/১৫ মিনিটের সময় আমরা হানিফ এন্টারপ্রাইজ বাসের নিজস্ব ফুয়েল পাম্প অভি পাম্পে ঢুকি বাসের ফুয়েল নেয়ার জন্য। আমি বাস থেকে নেমে কিছুটা ফ্রেশ হয়ে নেই এবং হেটে হেটে হানিফ এন্টারপ্রাইজ এর অনেক গুলো বাসের ভিডিও রেকর্ড করি। অত:পর আমরা ফিলিং স্টেশন থেকে বের হই এবং অনেক বড় ধরনের যানজটে পড়ে যাই। প্রায় ১ ঘন্টার মতো আমরা সেই জায়গাতেই ছিলাম। যাই হোক জ্যাম ছোটার পর আমাদের বাসের ড্রাইভার আংকেল উনার খেলা দেখানো শুরু করেন এবং আমরা কল্যানপুর চলে আসি। কল্যানপুরেও বাস প্রায় ১০/১৫ মিনিটা থেমে ছিলো। এর পর আবারো আমাদের বাস চলা শুরু করে। আর আমি রাতের ঢাকার নিয়ন আলো উপভোগ করতে করতেই সিটের মধ্যে ঘুমায় যাই।
২য় হোটেল বিরতিতে কি করলাম?
ঘুম থেকে উঠে আমি নিজেকে আশুগঞ্জ এর হোটেল উজান ভাটিতে আবিষ্কার করি ( কখন যে ভৈরব ব্রীজ পার হয়ে আসছি তা আমি নিজেই জানি না) এবং বাস থেকে নেমে কিছু ভিডিও ফুটেজ রেকর্ড করে ফেলি। রেকর্ড করে হালকা নাস্তা খেয়ে বাসের উঠার সময় একজন ভাইয়া আমাকে ডাক দেন। পরে নেমে উনার সাথে দেখা হয়েই আমি চমকে যাই। আরেহ উনিতো এনাম ভাই ( যেই বাসে আমি ভ্রমণ করতেছি এই বাস আগে উনি চালাতো ঢাকা মেট্রো-ব ১৫-৬৬৬২ এর এক্স ড্রাইভার )। পরে ভাইয়ার সাথে কুশল বিনিময় করি, উনি আরেকটা অন্য কোম্পানির বাস নিয়ে উজান ভাটিতে ব্রেক দিয়ে ছিলো। যাই হোক অত:পর আমরা আবারো আমাদের যাত্রা শুরু করি সিলেটের উদ্দেশ্যে।
উজান ভাটি হোটেল থেকে বের হওয়ার সময় আমাদের বাসে ৪/৫ জন পোকে উঠে [এই রিভিউটি আপ্লোড করা হয়েছে journeykothabd ওয়েবসাইটে। এখন আপনাদের মাথায় প্রশ্ন আসতে পারে পোক আবার কি?? তাই না! অপেক্ষা করুন আমি বোঝায়ে দিচ্ছি (পোক = POC = Passenger Over Carry) আমরা বাস লাভাররা বাসে লোকাল প্যাসেঞ্জার তোলাকে পোক বলি। আশা করি বুঝত পারছেন ] এরপর আমি কিছু সময় আমার সিটে এসে বসেছিলাম রেস্ট নেয়ার জন্য, আর কিচ্ছুক্ষণ পরই দিনের আলো ফুটে গেলো। তাই আর আমি বিশ্রাম নিতে পারি নাই। সিট থেকে উঠে এসে আমি বনেটে বসি এবং আমাদের বাসের ড্রাইভার সাহেবের বাস চালানো উপভোগ করতে থাকি। এরই মধ্যে আমরা হবিগঞ্জে অনেক বড় যানজটের শিকার হই, প্রায় এক ঘন্টা আমাদের বাসটা একই স্থানে থেমেছিলো এবং আমি নেমে নিচে হাটতে থাকি এবং ভিডিও রেকর্ড করতে থাকি। প্রায় এক ঘন্টা পর জ্যাম ছুটে যায় এবং আমাদের বাস আবারো রওনা হয় আমাদের গন্তব্য সিলেটের উদ্দেশ্যে।
এখন যানজট লাগার মুল কাহিনি আপনাদেরকে বলে রাখি, মুলত হবিগঞ্জ এর বাহুবলে আল-মোবারাকা বাস ও একটা ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছিলো, যতোটুকু আমাদের বাসের সুপারভাইজার ভাইয়ের কাছ থেকে জানতে পেরেছিলাম তা হলো দুর্ঘটনার ফলে প্রায় ২ জন স্পট ডেথ হয়েছিলো ( ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নালিল্লাহি রাজিউন )।
যাই হোক, মুল রিভিউতে আবারো ফিরে আসা যাক। আমি বনেটে বসে ভিডিও রেকর্ড করতে থাকি এবং আমাদের পাইলট আংকেলের ড্রাইভিং উপভোগ করতে থাকি। শেরপুর বাইপাসে এসে আমি আমার সিটে চলে যাই, এবং কিছুটা সময় রেস্ট নেই। হটাত আব্বুর ডাকাডাকি শুনে আমার ঘুম ভাঙে, তারপর নিজেকে সিলেট কদমতলী বাস টার্মিনালে আবিষ্কার করি। ড্রাইভার আংকেল, হেল্পার ভাইয়া এবং সুপারভাইজার ভাইয়ের থেকে বিদায় নিয়ে বাস থেকে নেমে যাই এবং আব্বু ২ টা সিএনজি রিজার্ভ নেন আমাদের বাসায় আসার জন্য। সকাল ৮ টা ৩০/৪০ মিনিটে আমার বাস জার্নি শেষ হয়। যাই হোক এখন পুরো জার্নির ভালো দিক ও খারাপ দিক এবং কিছু জিনিসের উপর রেটিং দিয়ে আমার রিভিউটা শেষ করে ফেলি।
বাস জার্নির ভালো/খারাপ দিক ও সার্ভিস রেটিং :
বাস জার্নির ভালো দিক : হানিফ এন্টারপ্রাইজ বাসে যতোবারই ভ্রমন করেছি, ততোবারই ভালো সার্ভিস পেয়েছি আলহামদুলিল্লাহ। বাস স্টাফদের ব্যাবহার এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ এর বাস কাউন্টার ম্যানেজার আংকেলে ব্যাবহার অনেক ভালো পেয়েছি। উনারা আমাকে আমার চ্যানেলের জন্য ভিডিও বানাতে অনেক বেশি সাহায্য করেছেন। বাসের প্রত্যেকটা যাত্রীর যেকোন প্রয়োজনে সুপারভাইজার ভাইকে ডাকার সাথে সাথে যাত্রীরা কাছে পেয়েছিলো, যা এতো বড় যাত্রা পথে অনেক ভালো একটা দিক।
বাস জার্নির খারাপ দিক : খারাপ দিকের মধ্যে আমার হানিফ এন্টারপ্রাইজ এর বাসের সিটের পজিশনটা তেমন ভালো লাগে না। এই রিভিউটি আপ্লোড করা হয়েছে journeykothabd ওয়েবসাইটে। আমি একটু হেলদিতো তাই আমার কাছে লেগরেস্ট খুবই কম মনে হয়েছে। এটার আমার ব্যাক্তিগত ভাবে হানিফ এন্টারপ্রাইজ বাসের খারাপ দিক মনে হয়। ( বি,দ্র, -> আমার ব্যাক্তিগত মতামত )
বাস জার্নির মোট সময় : আমাদের বাস চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ছেড়েছিলো বিকাল ৫ টা ৩০ মিনিটে এবং আমি সিলেট বাস টার্মিনালে এসে পৌছাই প্রায় সকাল ৮ টা ৩০/৪০ এর সময়। টোটাল ১৫ ঘন্টার মতো লেগেছিলো। রাস্তায় জ্যামের মধ্যেই ছিলাম প্রায় ২ ঘন্টা + হোটেল বিরতি + অন্যান্য স্টপেজের বিরতি মিলিয়ে প্রায় ৩০ মিনিট এমনেই নষ্ট হয়েছিলো।
বাসের সার্ভিস রেটিং : সব কিছু বিবেচনা করে আমি (৮.৫/১০) দিবো।
ড্রাইভার রেটিং : মাশাল্লাহ ড্রাইভার আংকেল অনেক ভালো চালিয়েছেন এবং উনি বয়ষ্ক ছিলেন, অনেক এক্সপেরিয়েন্স। আমি উনার ড্রাইভিং কে (০৯/১০) দিবো।
পুরো ভ্রমণের ভিডিও লিংক কিভাবে দেখবেন?
আমার ইউটিউব চ্যানেলে অলরেডি ভিডিও আপ্লোড করা আছে, আপনারা যারা ভিডিওটি দেখতে চান ,তারা নিচের বাটনটি তে ক্লিক করুন।
ভিডিও দেখতে উপরে ক্লিক করুন |
পুরো রিভিউটা মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য আপনাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ, রিভিউটা কেমন লাগলো, কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না কিন্তু।
যেকোন প্রয়োজনে আমাকে মেইল করুন - ets2ridoy@gmail.com
0 Comments