ইউনিক সার্ভিস বাস ভ্রমণ | মাত্র ৫ ঘন্টায় সিলেট থেকে ঢাকা যাওয়ার গল্প | ঢাকা - সিলেট বাস | বাস জার্নি রিভিউ - ০২

রিভিউ টপিক : আজকের ভ্রমণ গল্পতে আমি একটা সুন্দর বাস জার্নি সম্পর্কে কথা বলবো, আমি মুলত ইউনিক সার্ভিস বাস ভ্রমণ করে মাত্র ৫ ঘন্টায় সিলেট থেকে ঢাকা যাওয়ার জার্নি অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আমার এই রিভিউটি আপ্লোড করা হয়েছে journeykothabd ওয়েবসাইটে এবং এইটা বাস জার্নি রিভিউ - ০২

 

ছবি কারিগর - ইউনিক সার্ভিস অফিশিয়াল পেইজ


রিভিউ ক্যাটাগরি : বাস ভ্রমণ
রিভিউ নাম্বার : ০২
বাস কোম্পানীর নাম : ইউনিক সার্ভিস
বাসের রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার : ঢাকা মেট্রো-ব ১৫-২৪১৮
রুট : সিলেট - ঢাকা
ভ্রমণের তারিখ : ০৭ জানুয়ারি ২০২৩

সিলেট থেকে ঢাকা বাস জার্নি রিভিউ - ০২

আসসালামুয়ালাইকুম, আশা করি সবাই ভালো আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় অনেক বেশি ভালো আছি, আজকে আপনাদের সাথে আমি আমার লাইফের সবচেয়ে সুন্দর রাতের বাস জার্নি অর্থাৎ নাইট কোচ বাস ভ্রমণ অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো। এই ভ্রমন অভিজ্ঞতাটা একটু বড় হতে পারে আশা করি আপনারা পুরো গল্পটা পড়বেন এবং আপনাদের অনেক ভালো লাগবে, তাই পুরো ভ্রমণটি সম্পর্কে জানতে এই আর্টিকেলটি সম্পুর্ন পড়তে ভুলবেন না কিন্তু। যাই হোক মুল রিভিউতে আসি। আমার নাম মোহাম্মদ আজহার, আমি সিলেটে থাকি আমার পরিবারের সাথে। আজকের রিভিউটিতে একটি কুয়াশার চাদরে ডাকা রাতের বাস জার্নি সম্পর্কে আপনাদের সাথে কথা বলবো।

মুলত আমি এবং আমার ২ বন্ধু মনির, শড়বিন্দুর সাথে ওইদিন রাতে বাস জার্নিটি করেছিলাম। আমাদের প্লেন ছিলো নাইট কোচ বা রাতের শেষ ট্রিপে বাসে উঠবো এবং সকালে ৭/৮ টার দিকে ঢাকা যেয়ে পৌছাবো। কিন্তু প্লেন মতো কিছুই হলো না, বিকেলে আমি বাস কাউন্টারে ফোন দিয়ে যখন জিজ্ঞাসা করেছিলাম লাস্ট ট্রিপের বাসে ৩ টা সিট পাবো কি না, তখন ফোনের অপর প্রান্ত থেকে জানানো হয়, সিট পাবো কিন্তু পিছনের সিট খালি বাকি সব সিট ফিল-আপ করা। তার পর কাউন্টারম্যানকে জিজ্ঞাসা করলাম মাঝামাঝি সিট লাগবে, কয়টার বাসে মাঝামাঝি সিট পাবো। তখন উনি চেক করা আমাকে জানালেন ১২ টা ১৫ মিনিটের বাসে মধ্যখানে সিট ফাকা আছে। তাই আর কোন কথা চিন্তা না করে ১২ টা ১৫ এর বাসেই টিকেট করে ফেলি। অত:পর রাত ১০ টার দিকে আমি আমার ক্যামেরা সেট-আপ রেডি করে আমার বাসা থেকে বের হই ( কারন ওইদিন ও আমি আমার ইউটিউব চ্যানেলের জন্য ভিডিও রেকর্ড করেছিলাম - আপনারা এই আর্টিকেলটার নিচেই সেই ভিডিওটার লিংক পেয়ে যাবেন)।

যাই হোক ১০ টা ২০/২৫ এর সময় আমি আমার বন্ধু মনিরের বাসার সামনে এসে মনিরকে কল দেই। পরে মনির বের হয় বাসা থেকে তারপর আরো ২০/২৫ মিনিট আমরা আমাদের আরেক বন্ধু শড়বিন্দুর জন্য অপেক্ষা করতে থাকি। অত:পর শড়বিন্দু এসে গেলে আমরা সিলেটে বাস টার্মিনালের হুমায়ুন চত্তরের উদ্দেশ্যে রওনা হই। প্রায় রাত ১১ টা ৩০ এর দিকে আমরা সেখানে যেয়ে পৌছাই। এবং আমি আমার ভিডিও শুট করা শুরু করে ফেলি। ভিডিও শুট করার পর আমরা ৩ জন বন্ধু একটু গ্রীন লাইন বাসের কাউন্টার এবং লন্ডন এক্সপ্রেস বাসের কাউন্টারের ওইদিকে হাটাহাটি করি এবং আমি সেই বাস গুলোর কিছু ছবি ও ভিডিও তুলে ফেলি। রাত ১২ টা ৫ মিনিটের সময় আমরা কাউন্টারে ফিরে আসি। এবং রাত ১২ টা ১০ এর সময় কাউন্টার থেকে আমাদের কোচ নাম্বার বলা হয় এবং আমাদের উদ্দেশ্যে বলা হয় যেনো আমরা যেয়ে বাসে উঠে যাই। কাউন্টার ম্যানেজার এর কথা মতো আমরা এবং বাসের অন্যান্য যাত্রীরাও যেয়ে বাসে উঠে যাই। এখন থেকেই আমাদের সিলেট টু ঢাকা কুয়াশাময় রাতের রোমাঞ্চকর বাস জার্নি শুরু হয়ে যায়।

বাস কখন ছাড়লো ?

বাসে উঠার আগেও আমি কিছু ভিডিও রেকর্ড করে ফেলি আমার ইউটিউব চ্যানেলের ভ্রমন ভিডিও এর জন্য। যাই হোক আমি, আমার বন্ধুরাসহ বাসের সকল প্যাসেঞ্জার বাসে উঠে নিজ নিজ সিটে বসে যাই। বলে রাখা ভালো, আমরা ৩ জন সহ বাসে মোট ২৪/২৫ জন যাত্রী নিয়েই আমাদের বাসটি সিলেটের হুমায়ুন চত্তর থেকে আমাদের গন্তব্য তথা ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা করে। 


আমাদের বাস চলতে শুরু করে আর আমি বাসে উঠেই আমার ক্যামেরা সেট-আপ এর সব কিছু খুলতে শুরু করি এবং খোলা শেষ হয়ে গেলে আমার সাথে থাকা ব্যাগে সব কিছু ঢুকিয়ে রেখে দেই। এই রিভিউটি আপ্লোড করা হয়েছে journeykothabd ওয়েবসাইটে। বাস ছাড়ার পরই আমি আমার আব্বুকে কল দেই এবং আব্বুকে কল দিয়ে বলি যে আমাদের বাস ছেড়ে দিছে, সেইমভাবে আম্মু ও বড় ভাইয়াকেও কল দিয়ে বলি এবং উনাদেরকে আরো বলি যে উনারা যেনো ঘুমিয়ে যায় টেনশন না করে,আমি ঢাকায় যেয়ে উনাদেরকে কল দিবো।বাসার সবাইকে জানানোর পর আমি আমার বাস জার্নি উপভোগ করতে থাকি এবং বাসের যাত্রীদের থেকে কিছু ফ্রি বিনোদন পেতে থাকি, আমি ছিলাম বাসের C সাড়িতে, সামনে তাকিয়ে দেখি কয়েকজন যাত্রী নিজের শরীরে পড়ে থাকা জ্যাকেট খুলে বাসের যেই ক্যাবিন গেইট থাকে ওইখানে হেঙার দিয়ে ঝুলিয়ে রাখতেছেন, এইটা দেখে আমার অনেক হাসি পায়। 

আমি আমার বন্ধু শড়বিন্দু ও মনিরকেও ডেকে দেখাই। তারপর তারাও অবাক হয়ে যায় দেখে। রাস্তায় অনেক কুয়াশা ছিলো তাই বাসের পাশের বা সাইড গ্লাস দিয়ে বাহিরের তেমন কিছুই ভালোভাবে দেখতে পারি নাই, যখনই বাহিরে তাকিয়ে থাকি তখনই শুধু ঝাপসা লাইটের আলো এসে চোখে পড়েছে। তার পর চিন্তা করলাম বনেটে যেয়ে বসবো, কারন আমি বাস লাভার এবং আমার বাস চালানো না দেখলে বাস জার্নি করে তৃপ্তি মিটে না কিন্তু যখনই বনেটে যাওয়ার জন্য সিট থেকে উঠতে যাবো তখনই দেখলাম আমাদের বাসের সুপারভাইজার ভাই ক্যাবিনে দর্জা লক করে দিয়েছেন। আহ! কি দুর্ভাগ্য আমার আর বনেটে যেয়ে বসতে পারলাম না। রাতের অন্ধকার এবং বাহিরের কুয়াশার মধ্যে রাস্তার আশেপাশের বাড়ি-দোকান এইগুলোর লাইটের ঝাপসা আলো দেখতে দেখতে আমি একরাশ দু:খ নিয়ে যাত্রা করতে থাকলাম আমাদের গন্তব্য তথা ঢাকার উদ্দেশ্যে। অনেক প্যাচাল পাড়লাম এখন আবারো আমি আমার রিভিউতে ফিরে আসি, এখন হয়তো সময়ের কিছুটা গরমিল হতে পারে। আপনারা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেইখেন।
তারপর বাস অনেক বেশি স্পীডে চলতেছে তা অনুভব করতে থাকলাম, আর রাস্তায় ড্রাইভার সাহেব অনেক খেলাধুলা করতেছে বাস নিয়ে তা ও নিজের সিট থেকে বসে দেখার চেষ্টা করলাম কিন্তু না আমি ব্যার্থ বনেট ছাড়া নিজের সিটে বসে কখনোই তেমন ফিল পাওয়া যায় না। ড্রাইভার আংকেলের ড্রাইভিং দেখে দোয়াদুরুদ পড়া শুরু করলাম, মনে মনে ভাবছিলাম আজকেই হয়তো শেষ যাত্রা। কারনটা বলে রাখি, একেতো সামনের কিছুই দেখা যাচ্ছিলো না কুয়াশার জন্য। অন্যদিকে ড্রাইভার আংকেল কিসের ওভারটেক করতেছে তাও বুঝতে পারতেছিলাম না, ১/২ মিনিট পর গাড়ি খালি বাউলী দিচ্ছিলো। যাই হোক ওইদিনের জার্নিটা সারাজীবন মনে থাকবে।

হোটেল বিরতিতে কি করলাম?

অতপর আমাদের বাস এই কুয়াশার মধ্যেই হবিগঞ্জের মধ্য দিয়ে যাত্রা করতে থাকে এবং বাস আমাদের গন্তব্য তথা ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হতে থাকে, সিটে বসে আর কিছু করার ছিলো না, তাই ঘুমানোর চেষ্টা করি এবং আমি ঘুমাতে স্বার্থক হই। রাত আনুমানিক ৩ টা ১৫/২০ এর সময় বাসের সুপারভাইজার ভাইয়ের ডাকে আমার ঘুম ভেঙে যায় এবং আমি নিজেকে হোটেল উজান ভাটিতে আবিষ্কার করি। আমি ঘুম থেকে উঠে আমার বন্ধু শড়বিন্দু ও মনিরকে ডাকা শুরু করি, শড়বিন্দু ঘুম থেকে উঠে কিন্তু মনির উঠে নাই। অতপর আমি আর শড়বিন্দু বাস থেকে নেমে হোটেলে যেয়ে কিছুটা ফ্রেশ হয়ে নেই এবং কফি খাই।

তারপর আমি হোটেল থেকে বের হয়ে আমার ইউটিউব ভিডিও এর জন্য কিছু ফুটেজ রেকর্ড করতে থাকি এবং আমি হোটেল উজানভাটিতে হাটতে থাকি। হাটতে হাটতে এক পর্যায়ে আমার এক্স ট্যুরমেট শ্যামলী এন আর ট্রাভেলসের রাজশাহী - সিলেট রুটের বাসকে পেয়ে যাই, আরেকটু হেটে আমি আরো অবাক হই কারন আমার রাজশাহী - সিলেট রোডের আরেকটা এক্স ট্যুরমেট হানিফ এন্টারপ্রাইজ এর ঢাকা মেট্রো-ব ১৫-৬৬৬২ কেও পেয়ে যাই। আমি মনে করেছিলাম পরিচিত কোন স্টাফকে পাবো কিন্তু বাসের সামনে যেয়ে দেখি বাসে কোন স্টাফই ছিলো না, সম্ভবত উনারা খাবার খেতে চলে গেছিলো হোটেলের ভিতরে। যাই হোক অতপর ৩ টা ৪৫/৫০ এর সময় আমাদের বাস হোটেল থেকে বের হয় এবং আমরা আবারো আমাদের গন্তব্য ঢাকার উদ্দেশ্যে রউনা হয়ে যাই।

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সবচেয়ে বড় সেতুতে

হোটেল উজানভাটি থেকে বের হওয়ার পরই একটা গোল চত্তর ক্রোস করে আমাদের বাস এবং আমরা ঢাকা - সিলেট মহাসড়কের মেঘনা সেতুর উপর অবস্থিত সবচেয়ে বড় ব্রীজ তথা ভৈরব ব্রীজে উঠে যাই, আশাপাশে তাকিয়েও আমি মেঘনা নদী খুজে পাইনি কারন অনেক বেশি কুয়াশার ফলে শুধুমাত্র ব্রীজের উপরের নিয়ন লাইটের ঝাপসা আলো চোখে ভাসছিলো। যাই হোক ব্রীজ ক্রস করার পর টোল প্লাজাতে আমাদের বাস টোল দিয়ে ভৈরব জেলায় ঢুকে পড়ে। তার পর ভৈরব জেলা থেকে ধীরে ধীরে নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ ক্রস করতে শুরু করে আর ওইদিকে আমি আমার সিটে ঘুমিয়ে পড়ি অত:পর ৫ টার দিকে আমার ঘুম ভেঙে যায় আর নিজেকে শনির আখড়ায় আবিষ্কার করি। এই রিভিউটি আপ্লোড করা হয়েছে journeykothabd ওয়েবসাইটে। মানে মাঝখানে এতো রাস্তা এতো তাড়াতাড়ি কিভাবে আসলাম নিজেই বুঝে উঠতে পারি নাই।

তার পর চট্টগ্রামের অনেকগুলোর নাইট কোচের সাথে আমাদের বাস পাড়াপাড়ি করতে থাকে। পাড়াপাড়ি করতে করতে আমরা যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভার ক্রস করে সায়দাবাদ চলে আসি, সায়দাবাদে কয়েকজন প্যাসেঞ্জার নেমে যায়। আমরা নামি নাই কারন আমরা ফকিরাপুলে নামার কথা ছিলো। অতপর ফকিরাপুলে এসে গেলে আমাদের বাসের সুপারভাইজার ভাই ডাকাডাকি শুরু করে এবং আমি ড্রাইভার আংকেল, হেল্পার ভাইয়া এবং সুপারভাইজার ভাইয়ের থেকে বিদায় নিয়ে বাস থেকে নেমে ফকিরাপুলে অবস্থিত ইউনিক বাসের কাউন্টার এ যেয়ে বসি এবং আমার ক্যামেরা সেট-আপ রেডি করে কাউন্টারের সামনে আসতেই দেখি আমাদের ট্যুরমেট ঢাকা মেট্রো-ব ১৫-২৪১৮ আমাদেরকে রেখে টিটিপাড়ার দিকে চলে গেলো কারন টিটি পাড়াতে ইউনিক সার্ভিস বাসের হেড অফিস এবং ওইখানেই শেষ স্টপেজ। আমি আমার ভিডিও শুট রেকর্ড করে ফেলি এবং তারই মধ্য দিয়ে আমাদের সিলেট থেকে ঢাকা বাস ভ্রমন সকাল ৫ টা ৩০ মিনিটে শেষ হয়। যাই হোক এখন পুরো জার্নির ভালো দিক ও খারাপ দিক এবং কিছু জিনিসের উপর রেটিং দিয়ে আমার রিভিউটা শেষ করে ফেলি।

বাস জার্নির ভালো/খারাপ দিক ও সার্ভিস রেটিং :

বাস জার্নির ভালো দিক : ইউনিক বাসে যতোবারই ভ্রমন করেছি, ততোবারই ভালো সার্ভিস পেয়েছি আলহামদুলিল্লাহ। বাস স্টাফদের ব্যাবহার এবং সিলেট এর বাস কাউন্টার ম্যানেজার ভাইয়ের ব্যাবহার অনেক ভালো পেয়েছি। উনারা আমাকে আমার চ্যানেলের জন্য ভিডিও বানাতে অনেক বেশি সাহায্য করেছেন। বাসের প্রত্যেকটা যাত্রীর যেকোন প্রয়োজনে সুপারভাইজার ভাইকে ডাকার সাথে সাথে যাত্রীরা কাছে পেয়েছিলো, যা যাত্রা পথে অনেক ভালো একটা দিক।
বাস জার্নির খারাপ দিক : খারাপ দিকের মধ্যে আমার ইউনিক সার্ভিস বাসের ড্রাইভার আংকেলের ড্রাইভিং তেমন ভালো লাগে না। অনেক স্পীডি ড্রাভিং করেছেন, যা নরমাল রাত হলে আমি খারাপ বলতাম না, কিন্তু ওইদিন রাতে অনেক বেশি কুয়াশা ছিলো রাস্তায় তাই উনার এই ড্রাভিংকে খারাপ বলতে বাধ্য হলাম। এই রিভিউটি আপ্লোড করা হয়েছে journeykothabd ওয়েবসাইটে। এটা আমার ব্যাক্তিগত মতামত এবং ওইদিনের জার্নিতে আমার কাছে এই এতো জুড়ে বাস চালানোটাই মুলত খারাপ দিক মনে হয়েছিলো। ( বি,দ্র, -> আমার ব্যাক্তিগত মতামত )
বাস জার্নির মোট সময় : আমাদের বাস সিলেটের হুমায়ুন চত্তর থেকে ছেড়েছিলো রাত ১২ টা ১৫ মিনিটে এবং আমি ঢাকা ফকিরাপুল বাস টার্মিনালে এসে পৌছাই প্রায় ভোর ৫ টা ২৫/৩০ এর সময়। টোটাল ৫ ঘন্টার মতো লেগেছিলো। রাস্তায় কোন জ্যাম ছিলো না এবং হোটেল বিরতি প্রায় ৩০ মিনিট দিয়েছিলো, সুতরাং বলাই যায় বাস রানিং এ ছিলো ৪ ঘন্টা ৩০ মিনিট এবং আমরা সিলেট থেকে ঢাকা মাত্র ৪ ঘন্টা ২৫/৩০ মিনিটে চলে আসি (হোটেল ব্রেকের সময় ব্যতিত)।
বাসের সার্ভিস রেটিং : বাসের ইন্টেরিয়র ও এক্সটেরিয়র সব কিছু বিবেচনা করে এবং স্টাফদের ব্যবহার এর উপর ভিত্তি করে আমি (০৯/১০) দিবো।
ড্রাইভার রেটিং : ড্রাইভার আংকেল বয়ষ্ক ছিলেন, কিন্তু একটা দিকই আমার কাছে খারাপ লেগেছিলো তা হচ্ছে রাস্তায় এতো বেশি কুয়াশার মধ্যেও উনি অনেক বেশি স্পীডে বাস ড্রাইভ করেছিলেন, আল্লাহ না করুক যদি কোন দুর্ঘটনার শিকার হতাম তাহলে বাসের সামনের অর্ধেক অংশ নাই হয়ে যেতো ( এতো বেশি স্পীডে ছিলেন উনি )। আমি স্পীড লাভার না আর যদি রাস্তাতে কুয়াশা না থাকতো তাহলে স্পীড নিয়ে কিছুই বলতাম না। যাই হোক হয়তো উনি অনেক এক্সপেরিয়েন্স। তাই এতো হাই স্পীডে ড্রাইভ করে ছিলেন, আমি উনার ড্রাইভিং কে (০৭/১০) দিবো।

পুরো ভ্রমণের ভিডিও লিংক কিভাবে দেখবেন?

আমার ইউটিউব চ্যানেলে অলরেডি ভিডিও আপ্লোড করা আছে, আপনারা যারা ভিডিওটি দেখতে চান ,তারা নিচের বাটনটি তে ক্লিক করুন।

ভিডিও দেখতে উপরে ক্লিক করুন

পুরো রিভিউটা মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য আপনাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ, রিভিউটা কেমন লাগলো, কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না কিন্তু।
যেকোন প্রয়োজনে আমাকে মেইল করুন - ets2ridoy@gmail.com

Post a Comment

0 Comments