রিভিউ টপিক : আজকের ভ্রমণ গল্পতে আমি একটা সুন্দর নাইট কোচ বাস জার্নি সম্পর্কে কথা বলবো, আমি মুলত সাগরিকা পরিবহন এর নন এসি বাস ভ্রমণ করে মাত্র ৭ ঘন্টায় সিলেট থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার জার্নি অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আমার এই রিভিউটি আপ্লোড করা হয়েছে journeykothabd ওয়েবসাইটে এবং এইটা বাস জার্নি রিভিউ - ০৪
ছবি কারিগর -রবিন খান |
রিভিউ ক্যাটাগরি : বাস ভ্রমণ
রিভিউ নাম্বার : ০৪
বাস কোম্পানীর নাম : সাগরিকা এন্টারপ্রাইজ
বাসের রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার : মনে নেই
রুট : সুনামগঞ্জ - সিলেট - ময়মনসিংহ
ভ্রমণের তারিখ : ১৯ ডিসেম্বর ২০২২
সিলেট - ময়মনসিংহ বাস জার্নি রিভিউ - ০৪
আসসালামুয়ালাইকুম, আশা করি সবাই ভালো আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় অনেক বেশি ভালো আছি, আজকে আপনাদের সাথে আমি আমার লাইফের সবচেয়ে সুন্দর রাতের বাস জার্নি অর্থাৎ নাইট কোচ বাস ভ্রমণ অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো। এই ভ্রমন অভিজ্ঞতাটা একটু বড় হতে পারে আশা করি আপনারা পুরো গল্পটা পড়বেন এবং আপনাদের অনেক ভালো লাগবে তাই পুরো ভ্রমণটি সম্পর্কে জানতে এই আর্টিকেলটি সম্পুর্ন পড়তে ভুলবেন না কিন্তু। যাই হোক মুল রিভিউতে আসি।
আমার নাম মোহাম্মদ আজহার, আমি সিলেটে থাকি আমার পরিবারের সাথে। আজকের রিভিউটিতে একটি কুয়াশাময় রাতের বাস জার্নি সম্পর্কে আপনাদের সাথে কথা বলবো। মুলত আমি এবং আমার বন্ধু মনির একসাথে ওইদিন রাতে বাস জার্নিটি করেছিলাম। আমাদের প্লেন ছিলো নাইট কোচ বা রাতের শেষ ট্রিপে বাসে উঠবো এবং সকালে ৫/৬ টার দিকে ময়মনসিংহ যেয়ে পৌছাবো। যাই হোক, প্লেন মতো বিকেলে আমি সাগরিকা এন্টারপ্রাইজ এর বাস কাউন্টারে ফোন দিয়ে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, উনাদের সিলেট-ময়মনসিংহ লাস্ট ট্রিপ কয়টার দিকে এবং ওই বাসে ২ টা সিট পাবো কি না, তখন ফোনের অপর প্রান্ত থেকে জানানো হয়, উনাদের লাস্ট ট্রিপ রাত ৯ টা ৩০ মিনিটের সময় এবং হ্যা সিট পাবো । তার পর কাউন্টারম্যানকে বললাম মাঝামাঝি সিট লাগবে, উনি ফোনের অপর প্রান্ত থেকে বললেন, হ্যা লাস্ট ট্রিপের বাসে মধ্যখানে সিট ফাকা আছে।
তাই আর কোন কথা চিন্তা না করে ৯ টা ৩০ এর বাসেই টিকেট করে ফেলি। অত:পর আমি সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিটের সময় বাসা থেকে বের হয়ে - এই রিভিউটি আপ্লোড করা হয়েছে journeykothabd.com
ওয়েবসাইটে - আমি আমার বন্ধু মনিরের বাসার সামনে এসে মনিরকে কল দেই। পরে মনির বের হয় বাসা থেকে। অত:পর আমি এবং মনির একটা সিএনজি রিজার্ভ নিয়ে সিলেটে অবস্থিত বাস টার্মিনালের উদ্দেশ্যে রওনা হই। প্রায় রাত ৮ টা ৪৫/৫০ এর দিকে আমরা সেখানে যেয়ে পৌছাই। কাউন্টারে যেয়ে আমরা আমাদের ব্যাগ রাখি এবং আমি বের হয়ে দোকান থেকে কিছু সফট ড্রিংকস ও চিপসের প্যাকেট কিনে নেই।
বলে রাখা ভালো, আমাদের বাস সিলেট বাস টার্মিনাল থেকে ছাড়ার কথা ছিলো রাত ৯ টা ৩০ মিনিটের সময়। কাউন্টারে কথা বলে জানতে পারি আমাদের বাস সুনামগঞ্জ থেকে আসতেছিলো। কারন এই বাসের রুট হলো সুনামগঞ্জ - সিলেট - কিশোরগঞ্জ - ময়মনসিংহ। যাই হোক, বাসের জন্য অপেক্ষা করতে করতে আপনাদেরকে বলে রাখি কেনো আমরা এই জার্নিটা করে ছিলাম তা।
কেনো এই বাস জার্নিটা করেছিলাম?
এই বাস ভ্রমণ করার মুল উদ্দেশ্য ছিলো একটাই, তা হচ্ছে আমার বন্ধু মনিরের ভর্তি পরীক্ষা ছিলো ময়মনসিংহে অবস্থিত কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। যেই দিন বাস জার্নিটা করেছিলাম তার পরের দিন সকাল ১১ টা ৩৫ মিনিটের সময় ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে মনিরের ইন্টারভিউ ছিলো৷ অন্যথায় এই জার্নিটা করতাম না। মনির এর আব্বু সৌদিয়া আরবে থাকেন এবং ওর বড় ভাই নেই। ও একা জার্নি করবে না, তাই বলে আমাকে বলছিলো ওর সাথে জার্নিটা করার জন্য। আর এইদিকে আমি বাস লাভার, বাস জার্নির লোভ কিভাবে সামলানো যায়!! আপনারাই বলুন।
তাই আর মনিরকে মানা করি নাই। ওর সাথে ওইদিন রাতে সিলেট থেকে ময়মনসিংহ জার্নি করার সিদ্ধান্ত নেই। সুতরাং, আশা করি আপনারা বুঝতেই পারছেন যে কেনো আমি ওইদিন জার্নিটা করেছিলাম। যাই হোক আমরা আবারো আমাদের মুল রিভিউতে ফিরে আসি। বলে রাখা ভালো - এই রিভিউটিতে সময়ের কিছুটা গরমিল হতে পারে, সবাই ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেইখেন দয়া করে।
বাস কখন ছেড়েছিলো?
আমরা কাউন্টারে অপেক্ষা করতে থাকি বাসের জন্য, অপেক্ষা করতে করতে নির্দিষ্ট সময়ের প্রায় ১৫ মিনিট পর আমাদের ট্যুরমেট সিলেট বাস কাউন্টারের সামনে আসে এবং ঠিক রাত ৯ টা ৫০ মিনিট এর সময় কাউন্টার থেকে আমাদের কোচ নাম্বার বলা হয় এবং আমাদের উদ্দেশ্যে বলা হয় যেনো আমরা যেয়ে বাসে উঠে যাই। কাউন্টার ম্যানেজার এর কথা মতো আমরা এবং বাসের অন্যান্য যাত্রীরাও যেয়ে বাসে উঠে যাই।
এখন থেকেই আমাদের সিলেট টু ময়মনসিংহ কুয়াশাময় রাতের রোমাঞ্চকর বাস জার্নি শুরু হয়ে যায়। বলে রাখা ভালো, আমরা ২ জন সহ বাসে মোট ৩৪/৩৫ জন যাত্রী নিয়েই আমাদের বাসটি সিলেটের পুরাতন বাস টার্মিনালে অবস্থিত সাগরিকা বাসের কাউন্টার থেকে আমাদের গন্তব্য তথা ময়মনসিংহের উদ্দেশ্যে রওনা করে।
আমাদের বাস চলতে শুরু করে - এই রিভিউটি আপ্লোড করা হয়েছে journeykothabd.com
ওয়েবসাইটে - বাস ছাড়ার পরই আমি আমার আব্বুকে কল দেই এবং আব্বুকে কল দিয়ে বলি যে আমাদের বাস ছেড়ে দিছে, সেইমভাবে আম্মু ও বড় ভাইয়াকেও কল দিয়ে বলি এবং উনাদেরকে আরো বলি যে উনারা যেনো ঘুমিয়ে যায় টেনশন না করে,আমি ময়মনসিংহে যেয়ে উনাদেরকে কল দিবো।বাসার সবাইকে জানানোর পর আমি আমার বাস জার্নি উপভোগ করতে থাকি কিন্তু একটাই কষ্ট মনে আঘাত করতেছিলো, তা হচ্ছে আমাদের সিট ছিলো মাঝখানে। যার জন্য আমি সামনে যেয়ে বনেটে বসতে পারি নাই। যাই হোক, সিট থেকে বসেই ড্রাইভার সাহেবের চালানো উপভোগ করতে থাকি। উনার চালানো দেখেই বোঝা যাচ্ছিলো যে, উনি অনেক এক্সপেরিয়েন্সড এবং অভিজ্ঞতা সম্পুর্ন একজন ড্রাইভার।
আমাদের বাস এভাবেই এগোচ্ছিলো ময়মনসিংহ এর উদ্দেশ্যে, দেখতে দেখতে আমরা চলে আসলাম শেরপুর টোল প্লাজায়, সেখানে ড্রাইভার সাহেব টোল দিলো। আর আকাশে কুয়াশার ঘনত্বও বাড়তে থাকলো। সামনে তাকিয়ে দেখলাম তেমন কিছুই দেখা যাচ্ছে না রাস্তার - এই রিভিউটি আপ্লোড করা হয়েছে journeykothabd.com ওয়েবসাইটে - ডানে বামে গ্লাসে তাকালাম, বাহিরের কিছুই দেখতে পারলাম না। এভাবেই আল্লাহর নাম নিয়ে এবং দোয়া-দরুদ পড়ে এগোচ্ছিলাম সামনের দিকে। যেহেতু কোন কিছুই ভালো ভাবে বুঝতেছিলাম না, সেহেতু আমি ঘুমানোটাকেই ভালো মনে করলাম এবং কিছুক্ষণ এর জন্য ঘুমানোর চেষ্টা করলাম। বাবা রে বাবা এতো ঘুম আসলো যে কখন হোটেল উজানভাটিতে এসে পৌছিয়েছি তা আমি নিজেই জানি না। আমাদের বাসের সুপারভাইজার ভাইয়ের ডাকে আমার এবং আমার বন্ধু মনিরের ঘুম ভেঙে যায়।
হোটেল বিরতিতে কি করলাম?
তারপর আমরা - আমাদেরকে হোটেল উজান ভাটিতে আবিষ্কার করি। আমি আর মনির বাস থেকে নেমে হোটেলে যেয়ে কিছুটা ফ্রেশ হয়ে নেই এবং কফি খাই। তারপর আমি হোটেল থেকে বের হয়ে হোটেল উজানভাটিতে হাটতে থাকি। হাটতে হাটতে এক পর্যায়ে আমার এক্স ট্যুরমেট ইউনিক সার্ভিসের ঢাকা - সিলেট রুটের বাসকে পেয়ে যাই, আরেকটু হেটে আমি আরো অবাক হই কারন আমার ঢাকা - সিলেট রোডের আরেকটা এক্স ট্যুরমেট লন্ডন এক্সপ্রেসকে পেয়ে যাই। আমি মনে করেছিলাম পরিচিত কোন স্টাফকে পাবো কিন্তু বাসের সামনে যেয়ে দেখি বাসে কোন স্টাফই ছিলো না, সম্ভবত উনারা খাবার খেতে চলে গেছিলো হোটেলের ভিতরে। যাই হোক অতপর ১ টা ৩৫/৪০ এর সময় আমাদের বাস হোটেল থেকে বের হয় এবং আমরা আবারো আমাদের গন্তব্য ময়মনসিংহের উদ্দেশ্যে রউনা হয়ে যাই।
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সবচেয়ে বড় সেতুতে
হোটেল উজানভাটি থেকে বের হওয়ার পরই একটা গোল চত্তর ক্রোস করে আমাদের বাস এবং আমরা ঢাকা - সিলেট মহাসড়কের মেঘনা সেতুর উপর অবস্থিত সবচেয়ে বড় ব্রীজ তথা ভৈরব ব্রীজে উঠে যাই, আশাপাশে তাকিয়েও আমি মেঘনা নদী খুজে পাইনি কারন অনেক বেশি কুয়াশার ফলে শুধুমাত্র ব্রীজের উপরের নিয়ন লাইটের ঝাপসা আলো চোখে ভাসছিলো। যাই হোক ব্রীজ ক্রস করার পর টোল প্লাজাতে আমাদের বাস টোল দিয়ে ভৈরব জেলায় ঢুকে পড়ে। তার পর ভৈরব জেলা থেকে বাইপাস নিয়ে কিশোরগঞ্জ এর দিকে ঢুকে যায় আমাদের বাস।
তারই সাথে সাথে আমাদের বাসে লোকাল প্যাসেঞ্জার তোলা শুরু হয়ে যায়। রাস্তায় অনেক কুয়াশা ছিলো এবং আমাদের বাস ও কুয়াশার মধ্যেই একটু সামনে যায়, আবার লোকাল প্যাসেঞ্জার তুলে, আবার সামনে যায় আবার প্যাসেঞ্জার তুলে। এইরকম করতে করতে বাসের সব সিট ফিল-আপ হয়ে যায়। হটাত দেখি বাসে মানুষ আর মানুষ এবং বাসের সুপারভাইজার উনাদেরকে টুল দিয়ে বাসে বসিয়েছেন।
এভাবেই কিচ্ছুক্ষণ পর পর আমাদের বাস থেকে লোকাল যাত্রীরা নামতেছিলো, তারপর আবারো লোকাল যাত্রীরা উঠতেছিলো। আমি নিজেই বুঝলাম না - হটাত এইভাবে লোকাল বাস হয়ে যাওয়ার কারনটা কি ছিলো। সিলেট থেকে হোটেল বিরতি পর্যন্ত খুবই সুন্দরভাবেই সার্ভিস পেয়েছিলাম ( আলহামদুলিল্লাহ )। কিন্তু হোটেল বিরতি শেষ হওয়ার পর কি শুরু হলো নিজেই বুঝি নাই। যাই হোক হটাত অনেক ঘুম চলে আসে চোখে এবং আমি ঘুমিয়ে যাই।
ঘুম থেকে উঠে গুগল ম্যাপে সার্চ করে দেখি আমরা ময়মনসিংহের আশেপাশে চলে এসেছিলাম, তার কিছু সময় পর আমাদের বাস আমাদেরকে ময়মনসিংহ বাস টার্মিনালে নামিয়ে দিয়ে চলে যায় এবং তারই মধ্য দিয়ে আমাদের সিলেট থেকে ময়মনসিংহ বাস ভ্রমন সকাল ৫ টা ২৫/৩০ মিনিটে শেষ হয়। বাস থেকে আমি এবং মনির নেমে দেখি রাস্তায় কেউ নেই, পুরো কুয়াশাময় একটা শহর, তার পাশেই একটা ছোট হোটেল খোলা ছিলো। আমি আর মনির - আমরা ওই হোটেলে যেয়েই সকাল হওয়া পর্যন্ত বাকি সময় বসেছিলাম। যাই হোক এখন পুরো জার্নির ভালো দিক ও খারাপ দিক এবং কিছু জিনিসের উপর রেটিং দিয়ে আমার রিভিউটা শেষ করে ফেলি।
বাস জার্নির ভালো/খারাপ দিক ও সার্ভিস রেটিং :
বাস জার্নির ভালো দিক : সাগরিকা বাসে ওইবারই আমি প্রথম ভ্রমণ করেছিলাম, বাসের ভিতরের ডেকোরেশন, লেগ স্পেস, বাহিরের রঙ সব কিছু আলহামদুলিল্লাহ ভালোই ছিলো। বাস স্টাফদের ব্যাবহার এবং সিলেট এর বাস কাউন্টার ম্যানেজার ভাইয়ের ব্যাবহার অনেক ভালো পেয়েছি। বাসের প্রত্যেকটা যাত্রীর যেকোন প্রয়োজনে সুপারভাইজার ভাইকে ডাকার সাথে সাথে যাত্রীরা কাছে পেয়েছিলো, যা যাত্রা পথে অনেক ভালো একটা দিক।
বাস জার্নির খারাপ দিক : খারাপ দিকের মধ্যে আমার কাছে কিশোরগঞ্জ পার হওয়ার পরের অবস্থাকেই লেগেছিলো। কারন সিলেট থেকে কিশোরগঞ্জ পর্যন্ত অনেক ভালো সার্ভিস পেয়েছিলাম কিন্তু কিশোরগঞ্জ পার হওয়ার পরপরই মধ্যরাতে এতো কুয়াশার মধ্যেও খালি লোকাল যাত্রী বাসে তুলতেছিলো। বাসে সিট শেষ হয়ে যাওয়ার পর বাসের বনেটে এবং টুল দিয়েও বা টুলের মধ্যে বসিয়েও যাত্রী নিচ্ছিলো। ওইদিন রাতের এই কাহিনীর জন্য আমি বাসের এই সার্ভিসটাকে খারাপ বলতে বাধ্য হলাম। এই রিভিউটি আপ্লোড করা হয়েছে journeykothabd.com ওয়েবসাইটে। এটা আমার ব্যাক্তিগত মতামত এবং ওইদিনের জার্নিতে আমার কাছে এইভাবে লোকাল যাত্রীদের বাসের মধ্যে তোলাকেই মুলত খারাপ দিক মনে হয়েছিলো। ( বি,দ্র, -> আমার ব্যাক্তিগত মতামত )
বাস জার্নির মোট সময় : আমাদের বাস সিলেটের পুরাতন বাস টার্মিনালে অবস্থিত সাগরিকা বাসের কাউন্টার থেকে ছেড়ে ছিলো রাত ৯ টা ৫৫ মিনিটে এবং আমরা ময়মনসিংহের বাস টার্মিনালে এসে পৌছাই প্রায় ভোর ৫ টা ২৫/৩০ এর সময়। টোটাল ৭ ঘন্টা ৩০/৪৫ মিনিটের মতো লেগেছিলো। রাস্তায় কোন জ্যাম ছিলো না এবং হোটেল বিরতি প্রায় ৩০ মিনিট দিয়েছিলো, সুতরাং বলাই যায় বাস রানিং এ ছিলো ৭ ঘন্টা ৩০/৪৫ মিনিট এবং আমরা সিলেট থেকে ময়মনসিংহ মাত্র ৭ ঘন্টা চলে আসি (হোটেল ব্রেকের সময় ব্যতিত)।
বাসের সার্ভিস রেটিং : বাসের ইন্টেরিয়র ও এক্সটেরিয়র সব কিছু বিবেচনা করে এবং স্টাফদের ব্যবহার এর উপর ভিত্তি করে আমি (০৯/১০) দিতাম কিন্তু কিশোরগঞ্জ পার হওয়ার পর থেকে ময়মনসিংহ যাওয়া পর্যন্ত রাস্তায় প্রচুর পোক তুলতে ছিলো এই কুয়াশার মধ্যেই, তাও আবার মধ্যরাতে। এইজন্য সার্ভিস রেটিং কমিয়ে আমি দিবো (৭/১০)।
ড্রাইভার রেটিং : ড্রাইভার ভাই মোটামুটি বয়ষ্ক ছিলেন এবং উনি অনেক এক্সপেরিয়েন্স ও ছিলেন যা আমি উনার চালানো দেখে বুঝতে পেরেছি। রাস্তায় অনেক বেশি কুয়াশা ছিলো, যার জন্য সামনের কিছু তেমন দেখা যাচ্ছিলো। উনি সিলেট থেকে ভৈরব অনেক ধীরে সুস্থে ড্রাইভ করেছিলেন কিন্তু যখনই আমরা কিশোরগঞ্জে ঢুকলাম, সাথেই সাথেই ছোট রাস্তার মধ্যে অনেক স্পীডি ড্রাইভ করা শুরু করলেন। একদিকে হিন্দি পুরানো গান বাজাচ্ছিলেন আর অন্যদিকে বাস চালাচ্ছিলেন। যাই হোক উনার ড্রাইভিং জোস লেভেলের ছিলো। তাই আমি উনার ড্রাইভিং কে (০৯/১০) দিবো।
পুরো রিভিউটা মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য আপনাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ, রিভিউটা কেমন লাগলো, কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না কিন্তু।
যেকোন প্রয়োজনে আমাকে মেইল করুন - ets2ridoy@gmail.com
0 Comments