রিভিউ টপিক : আজকের ভ্রমণ গল্পতে আমি মুলত জেদ্দা এক্সপ্রেস বাস কোম্পানি এর হুন্দাই এসি বাস ভ্রমণ করে কক্সবাজার থেকে ঢাকা যাওয়ার জার্নি অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আমার এই রিভিউটি আপ্লোড করা হয়েছে journykothabd.com ওয়েবসাইটে এবং এইটা বাস জার্নি রিভিউ - ০৭
ছবি কারিগর - এনামুল হক ও সামির আহমেদ |
রিভিউ ক্যাটাগরি : বাস ভ্রমণ
রিভিউ নাম্বার : ০৭
বাস কোম্পানীর নাম : জেদ্দা এক্সপ্রেস
বাসের রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার : ঢাকা মেট্রো ব ১৫-৮৫৮৪
রুট : কক্সবাজার-ঢাকা
ড্রাইভার : আব্দুল হামিদ ভাই (এক্স রবি এক্সপ্রেস ৬২৯)
গাইড : দ্বীপ দাদা
ভ্রমণের তারিখ : ১৩ই জানুয়ারী ২০২৩
কক্সবাজার - ঢাকা বাস জার্নি রিভিউ - ০৭
বাসের সময় ১১:৩০ এ ছিলো। বাস ও স্টাফগণ ১৫ মিনিট আগে এসেই উপস্থিত ছিল। দূর থেকে এই ৮৫৮৪ দেখে বেশ খুশি হয়ে যাই। তবে কিছু যাত্রীদের দেরির কারণে বাস ছাড়তে ১১:৫০ বেজে যায়। একটু দূর এতেই আরেকটি কাউন্টার থেকে আরো কিছু যাত্রী নেয়। যাত্রি মোট ২১ জন ছিলো।
ড্রাইভার সাহেব শুরু থেকেই প্রফেশনালি ড্রাইভ করতেছিল। আর গতিও মডারেট ছিলো। রিটার্ডারের ব্যবহার ও তিনি ভালোই করছিলো যার সাউন্ডটা পার্সোনালি আমার কাছে অসাধারণ লাগে🤩। রাস্তায় আর কোনো বাস ছিলোনা তবে থ্রি হুইলার ও ছোট যানবাহনে ভরা ছিলো। ১:২০ এ হোটেল ফোর সিজোনস এর বিরতি দেয়।সেখানেই রবি এক্সপ্রেস ১২-০২০০, জি এল ২৮১৭, জি এল স্লিপার ১১৭০ এর দেখা পাই। লেটে ঢুকার জন্যে তারা সবাই আমাদেরকে রেখে চলে যায়। অসাধারণ একটা কফি পান করে আবার সময়মত বাসে গিয়ে বসি। ২০ মিনিট পরেই বাস ছেরে দেয়। কিছু পথ আগাতেই ৬০-৭০এ চলা সেই জি এল স্লিপারকে পাই। নিমিষেই পাশ কাটিয়ে আসি আমরা। পটিয়া পার হয়ে সেই রবিকে সামনে পাই। পিছুপিছুই চট্রগ্রাম শহর পর্যন্ত আসি। পরে দামপারায় কিছু যাত্রী নিতে দারায় আমাদের বাস।
টিকেট |
সাইড দিয়ে দেয়, অভারটেক করেই আমরা একটু পর ফুড প্যালেসে ঢুকে যাই। ঘড়িতে তখন ৪:৩৪। মানে ১ ঘণ্টা ১৬ মিনিটে ১২৫ কিলো চলে আসলাম!!! আবার ঠিক ২০ মিনিট বিরতি দিয়ে ৪:৫৫ তে হোটেল থেকে আবার বের হই। ৫:০৫ এ বিশ্বরোড এর কিছু আগে সোহাগ এলিট মাল্টি এক্সেল ১৫-০৪৮২ কে অভারটেক করি - এই রিভিউটি আপ্লোড করা হয়েছে journeykothabd.com ওয়েবসাইটে -গৌরিপুর বাজারে এসে প্রায় ১০ মিনিটের জন্যে নামাজের বিরতি দেয়। নামাজ শেষ করে আমাদের চালক ১১০-১২০ এই ক্রুজ করে যাচ্ছিলো,এর উপরে খুব বেশি উঠাচ্ছিলোনা। ৬ টার আশেপাশে মেঘনা ব্রিজের কিছু আগে এসে ঘুমিয়ে পরি। উঠে দেখি ৬:৩৫ বাজে আর আমরা আরামবাগের কাছে। একটু পর নেমে পরি আরামবাগে। এভাবেই সাড়ে ছয় ঘন্টার অসাধারণ একটি যাত্রার সমাপ্তি ঘটে।
বাস: কন্ডিশন বেশ ভাল। নয়েস তেমন নাই বললেই চলে। ইন্টেরিওর ও পরিস্কার।☺️
সিট: ভালোনা। শরীরের সাথে ঠিকমতো এডজাস্ট করছিলোনা। পিলোটাও আমার পিঠ বরাবর ছিলো। লেগরেস্ট টাও আমার পায়ের অর্ধেক সাইজের ছিলো । পুরপুরি রিক্লাইন করতে পারলে হয়তো আরেকটু বেটার ফিল করতাম।
চালক: রিভিউ পরে আন্দাজ করতেই পারছেন। আমার কাছে বেশ ভাল লেগেছে।
গাইড : অসাধারণ! যাত্রিদের সাহায্যে তিনি কোন কমতি রাখেনাই। ব্যাবহার ও মাশাল্লাহ অনেক ভালো ছিলো। জার্নি শেষের ব্রিফিংটাও চমৎকার ছিলো।
সার্ভিস: আমি বেশ ভালই পেয়েছি। তবে তাদের দেওয়া কম্বল টা আরেকটু লম্বা হলে ভাল হতো। আমার বুক পর্যন্তও হবেনা ঠিকমতো। আর ফুড প্যালেস হোটেল টাও ভাল্লাগেনাই। তবে অভারল আমি স্যাটিস্ফাইড।
রেটিং:
বাস: ৯/১০
সিট: ৬/১০
চালক: ১০/১০
গাইড: ১০/১০
সার্ভিস: ৮/১০
ওভারল: ৮.৫/১০
পুরো রিভিউটা মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য আপনাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ, রিভিউটা কেমন লাগলো, কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না কিন্তু।
বাস যাত্রী / রিভিউ লেখকের নাম : Nabhan Ahsan , আমাকে ফলো করতে আমার নামের উপর ক্লিক করুন এবং ফেইসবুকে যেয়ে ফলো করে দিন।
রিভিউটি কালেক্ট করা হয়েছে : ফেইসবুক ভিত্তিক গ্রুপ Bus Lover থেকে।
যেকোন প্রয়োজনে আমাকে মেইল করুন - ets2ridoy@gmail.com
0 Comments