জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ট্রেন ভ্রমণ | মাত্র ২ ঘন্টায় ট্রেনে করে সিলেট টু শ্রীমঙ্গল যাওয়ার ভ্রমণ অভিজ্ঞতা | ট্রেন জার্নি রিভিউ - ০২

রিভিউ টপিক : আজকের ভ্রমণ গল্পতে আমি একটা সুন্দর এবং মজার ট্রেন জার্নি আপনাদের সামনে তুলে ধরবো, আমি মুলত জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ট্রেনে ভ্রমণ করে মাত্র ২ ঘন্টায় সিলেট থেকে শ্রীমঙ্গল যাওয়ার জার্নি অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আমার এই রিভিউটি আপ্লোড করা হয়েছে journeykothabd ওয়েবসাইটে এবং এটা ট্রেন জার্নি রিভিউ - ০২

ছবি কারিগর - মৃন্ময় কুমার বিশ্বাস

রিভিউ ক্যাটাগরি : ট্রেন ভ্রমণ
রিভিউ নাম্বার : ০২
ট্রেন কোম্পানির নাম : জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস
ট্রেনের লোকো নাম্বার : জানি না
রুট : সিলেট - ঢাকা কিন্তু আমি ভ্রমণ করেছিলাম সিলেট - শ্রীমঙ্গল
ভ্রমণের তারিখ : ১৩ মার্চ ২০২৩

সিলেট থেকে শ্রীমঙ্গল ট্রেন জার্নি রিভিউ - ০২

আসসালামুয়ালাইকুম, আশা করি সবাই ভালো আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় অনেক বেশি ভালো আছি, আজকে আপনাদের সাথে আমি আমার লাইফের সবচেয়ে সুন্দর ও মজার ট্রেন জার্নি বা ট্রেন ভ্রমণ অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো। এই ভ্রমন অভিজ্ঞতাটা একটু বড় হতে পারে আশা করি আপনারা পুরো গল্পটা পড়বেন এবং আপনাদের অনেক ভালো লাগবে, তাই পুরো ভ্রমণটি সম্পর্কে জানতে এই আর্টিকেলটি সম্পুর্ন পড়তে ভুলবেন না কিন্তু! 


যাই হোক মুল রিভিউতে আসি। আমার নাম মোহাম্মদ আজহার, আমি সিলেটে থাকি আমার পরিবারের সাথে। আজকের রিভিউটিতে আমি আমার journeykothabd.com ওয়েবসাইটের দ্বিতীয় ট্রেন জার্নি রিভিউ সম্পর্কে আপনাদের সাথে কথা বলবো। মুলত আমি এবং আমার বন্ধুদের সাথে ওইদিন এই মজার ট্রেন জার্নিটি করেছিলাম। আমার বন্ধুরা হলো মনির, শড়বিন্দু, সঞ্জয়, শাওন, চয়ন ও অভিক। আমরা খুবই ইঞ্জয় করেছিলাম সেই জার্নিটা।

কেনো ট্রেন জার্নিটি করেছিলাম?

আমার বন্ধু মনির ও শড়বিন্দুর কানাডার ভিসা হয়ে গেছিলো, বর্তমানে ওরা কানাডাতে আছে। তাই মুলত ওদের সাথে আমরা বন্ধুরাসহ কিছু ভালো সময় কাটানোর উদ্দেশ্যে এই ভ্রমনটা করেছিলাম। আমাদের মুল উদ্দেশ্য ছিলো আমরা শ্রীমঙ্গল যেয়ে, ওইখানের কিছু নামকরা ট্যুরিস্ট প্লেস এক্সপ্লোর করবো এবং হাম হাম জল প্রপাত ও ঘুরতে যাবো। এর পরিপ্রেক্ষিতেই আমরা ওইদিন ঠিক করি শ্রীমঙ্গল যাওয়ার জন্য। - এই রিভিউটি আপ্লোড করা হয়েছে journeykothabd.com ওয়েবসাইটে - আমাদের ট্রেন ছিলো সকাল ৬ টা ১৫ মিনিটে সিলেট রেলওয়ে স্টেশন থেকে। তাই আমরা সব বন্ধুরা আগের দিন রাতেই মনিরের বাসায় চলে যায়। 


মনিরের বাসায় যেয়ে আমরা রাতের খাবার খাই, তারপর বন্ধুরা মিলে আড্ডা দেই। আড্ডা দেয়ার পর রাতে কার্ড খেলি আমি, শড়বিন্দু, সঞ্জয় ও চয়ন। আর মনির, অভিক এবং শাওনরা টিভিতে খেলা দেখতেছিলো। যাই হোক। রাত ২ টা ৩০ মিনিটের সময় আমরা সবাই ঘুমানোর চেষ্টা করতে থাকি। অন্যদিকে কারোরই ঘুম লাগিতেছিলো না। অত:পর সকাল ৪ টা ৩০ এর সময় সবাই উঠে ফ্রেশ হয়ে যাই। এবং মনিরের আম্মু - আমাদের আন্টি আমাদের জন্য রাতেই না ঘুমিয়ে নাস্তা বানিয়ে রেখেছিলেন। আমরা ফ্রেশ হয়ে নাস্তা খাই। এবং ফজরের নামাজ পড়ে ফেলি আমি আর মনির৷ তারপর আমাদের ব্যাগ গুছাই এবং আমি আমার ক্যামেরা সেট-আপ করে ফেলি, কারন ওইদিন ও আমি আমার ইউটিউব চ্যানেল Azhar Vai - Official এর জন্য ভিডিও রেকর্ড করেছিলাম। আপনারা এই আর্টিকেলটার নিচেই সেই ভ্রমণের ভিডিওটি দেখতে পারবেন। তারপর আমরা আমাদের রিজার্ভ করা ২ টা সিএনজিতে উঠে যাই। এবং সিলেট রেলস্টেশনের দিকে অগ্রসর হতে থাকি।

ট্রেন কখন ছাড়লো ?

আমাদের ট্রেন ছিলো সকাল ৬ টা ১৫ মিনিটে সিলেট রেল স্টেশন থেকে। আমরা সিলেট রেলস্টেশনে প্রায় সকাল ৫ টা ৪০/৪৫ মিনিটের সময় পৌছাই। এর পর সিএনজি থেকে নেমে কিছু ফটো তুলি এবং সিলেট রেলস্টেশনের মধ্যেও বাস রাখা ছিলো, ওই বাস গুলোর ভিডিও রেকর্ড করি - কারন বাস দেখলেই ভিডিও রেকর্ড করতে ভালো লাগে। যাই হোক আমার ইউটিউব চ্যানেলের জন্য ভিডিও রেকর্ড করতে শুরু করে ফেলি সিলেট রেলস্টেশনে হেটে হেটে - এই রিভিউটি আপ্লোড করা হয়েছে journeykothabd.com ওয়েবসাইটে - অত:পর ভোর ৬ টা ০৫/১০ মিনিটের সময় আমরা ট্রেনে উঠে আমাদের সিট খুজে বসে যাই এবং আমাদের ট্রেনটি ঠিক সময়ে অর্থাৎ ভোর ৬টা ১৫ মিনিটের সময় সিলেটের ট্রেন স্টেশন থেকে আমাদের গন্তব্য তথা শ্রীমঙ্গল এর উদ্দেশ্যে রওনা করে। বলে রাখা ভালো আমাদের বগিতে প্রায় ১৮/২০ জন স্টুডেন্ট ও ছিলো।  তাদের সাথে অনেক মজা কাহিনী ঘটেছে তা আপনাদের সাথে এখন শেয়ার করবো।

জার্নি শুরু হওয়ার পর কি কি করলাম?

আমাদের ট্রেন চলতে শুরু করে আর আমি ট্রেনে উঠেই আমার ক্যামেরা সেট-আপ এর সব কিছু খুলতে শুরু করি এবং খোলা শেষ হয়ে গেলে আমার সাথে থাকা ব্যাগে সব কিছু ঢুকিয়ে রেখে দেই। - এই রিভিউটি আপ্লোড করা হয়েছে journeykothabd.com ওয়েবসাইটে - ট্রেন ছাড়ার পরই আমি আমার আব্বুকে কল দেই এবং আব্বুকে কল দিয়ে বলি যে আমাদের ট্রেন ছেড়ে দিছে, সেইমভাবে আম্মুকেও কল দিয়ে বলি এবং উনাদেরকে আরো বলি যে উনারা যেনো টেনশন না করে, আমি শ্রীমঙ্গল যেয়ে উনাদেরকে কল দিবো। বাসার সবাইকে জানানোর পর আমি আমার ট্রেন জার্নি উপভোগ করতে থাকি এবং ট্রেনের মধ্যে অনেক কাহিনী ঘটতে থাকে, যা আমি এবং আমার বন্ধুরা খুব ইঞ্জয় করি। 


বলে রাখা ভালো আমাদের ট্রেনটিতে প্রায় ১৪/১৫টা বগি ছিলো। আমরা ছিলাম জ/ঝ নং বগিতে ( এখন আসলে মনে করতে পারতেছি না)। ট্রেনের ভিতরের অবস্থা খুবই খারাপ ছিলো এবং সিট অনেক নোংরা ছিলো, সাথে সিট হেলানো যাচ্ছিলো না। পিছনে একটু বাঁকা করলেই আবার সোজা হয়ে যাচ্ছিলো সিট - যা আমার কাছে খুবই বিরক্তিকর লাগতেছিলো। 


সিলেট ট্রেন স্টেশন থেকে ট্রেন ছেড়েই সামনে যেয়ে আবার থেমে গিয়েছিলো কিন্তু কেনো থেমে ছিলো তা আমি নিজেও ভালো করে জানি না। অনেক প্যাচাল পাড়লাম এখন আবারো আমি আমার রিভিউতে ফিরে আসি, এখন হয়তো সময়ের কিছুটা গরমিল হতে পারে। আপনারা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেইখেন। যাই হোক ওইদিনের জার্নিটা সারাজীবন মনে থাকবে।

ট্রেনের মধ্যে কি কি দেখলাম?

ট্রেন জার্নি হোক বা বাস জার্নি, সব জার্নিতেই কিছু কিছু শিক্ষনীয় ও মজার জিনিস সব সময়ই আমার চোখে পড়ে। অনেক অপরিচিত মানুষের সাথে পরিচয় হয়, অনেকের অনেক মজার কাজকর্ম দেখে হাসি পায়। সব কিছু মিলিয়েই জার্নি উপভোগ করতে হয়। 


আমাদের ট্রেন চলতে শুরু করে, আর আমিও বাহিরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে থাকি, সত্যিই আল্লাহ তায়ালা সৃষ্টি কতোই না সুন্দর! আর একটু আগেই আপনাদেরকে বলেছিলাম, আমাদের ট্রেনে কিছু ছাত্র-ছাত্রী উঠেছিলো। তাদের কথাবার্তায় যা বুঝতে পারলাম তা হলো ২ টা টিমে বিভক্ত ছিলো উনারা। আরো স্পষ্ট বলতে প্রায় ৯/১০ জন ছিলো মেডিকেল স্টুডেন্ট আর আরো বাকি ৮/৯ জন ছিলো ভার্সিটির স্টুডেন্ট। আর আমাদের সিট ছিলো পুরো মাঝামাঝি জায়গায়, মানে আমাদের সামনে ছিলো মেডিকেল স্টুডেন্টদের একটা টিম আর পিছনে ছিলো ভার্সিটি স্টুডেন্টদের টিম। ওরা পুরো রাস্তা গানের কলি খেলতে খেলতে গেছে। আর আমরা বন্ধুরা মাঝখানে বসে তা ইঞ্জয় করতেছিলাম আর ফ্রি বিনোদন নিচ্ছিলাম। 


যাই হোক এভাবে চলতেছিলো আমাদের জার্নিটা, এরই মধ্যে নাস্তা নিয়ে ট্রেনের স্টাফরা আমাদের বগিতে আসে। আমরা উনাদের থেকে কফি, বার্গার এবং চিপ্স কিনে খেতে থাকি। এইরকম চলতে চলতে আমরা কুলাউড়া রেলস্টেশনে চলে আসি এবং আমাদের ট্রেন এইখানে কিছু সময় থেমে ছিলো। অত:পর আমাদের ট্রেন আবারো চলাচল শুরু করে আমরা এক এক করে শমশেরনগর ট্রেন স্টেশন ক্রস করি। এবং ওই স্টেশনে আমার ফ্রেন্ডরা নেমেছিলো। সাথে সাথেই আমাদের ট্রেন চলা শুরু হয়ে যায়। আর তারা দৌড়ে উঠে যায় ট্রেনে। শমশেরনগর ট্রেন স্টেশন থেকে ট্রেন শ্রীমঙ্গল এর উদ্দেশ্যে চলা শুরু করে এবং ট্রেনে কিছু অতিথিদের আগমন ঘটে। কোন অতিথি তা হয়তো আপনারা বুঝতেই পারতেছেন। 


আচ্ছা আপনাদেরকে আর চিন্তায় রাখতে চাই না, সেই অতিথিরা হচ্ছে হিজরা। উনারা ট্রেনেই উঠেই সবার থেকে টাকা তুলা শুরু করে দেয়। আমাদের ফ্রেন্ডদের মধ্যে আমাদের অর্থনৈতিক সব কিছুর হিসাব শড়বিন্দু রাখতো। আমরা প্রায় ৭ জন ছিলাম, তাই শড়বিন্দু প্রায় ৭০ টাকা দিয়ে দেয় হিজরাদের। আর হিজরারাও চলে যায় টাকা নিয়ে। কিন্তু ওই স্টুডেন্টদের টিমের এক জনের সাথে ঝগড়া লাগিয়ে দেয়। ওই ছেলেটা নিজেকে নায়ক সাজাতে চেয়েছিলো সবার সামনে - অত:পর যা হওয়ার তাই হলো। নায়ক সাজতে যেয়ে নিজেই মানহানীর শিকার হওয়ার পর হিজড়াকে টাকা দিয়েছিলো উনি। এভাবেই চলতেছিলো আমাদের যাত্রা...... 


অতপর সকাল ৮ টা ৪৫/৫০ মিনিটের সময় আমরা আমাদের গন্তব্য তথা শ্রীমঙ্গল ট্রেন স্টেশনে এসে নেমে যাই৷ এবং আমি আমার ইউটিউব চ্যানেলের জন্য ভ্রমন ভিডিও রেকর্ড করা শেষ করে ফেলি - এই রিভিউটি আপ্লোড করা হয়েছে journeykothabd.com ওয়েবসাইটে - ভিডিও রেকর্ড করতে যেয়েও অনেক মজার কাহিনী ঘটে আমার সাথে, ভিডিও রেকর্ড করার জন্য ট্রেন থেকে একটু দূরে হেটে যাই আমি, আর আমার চারপাশে মানুষ আইসা ক্যামেরার ভিতরে নিজেদেরো রেকর্ড করে ফেলেছিলো, আপনারা আমার ইউটিউব চ্যানেলের সেই ভ্রমণ ভিডিওটা দেখলে বুঝতে পারবেন, নিচে আমি আমার সেই ভিডিওটার লিংক ও দিয়ে রাখবো - যাই হোক এখন পুরো জার্নির ভালো দিক ও খারাপ দিক এবং কিছু জিনিসের উপর রেটিং দিয়ে আমার রিভিউটা শেষ করে ফেলি।

ট্রেন জার্নির ভালো/খারাপ দিক ও সার্ভিস রেটিং :

ট্রেন জার্নির ভালো দিক : ট্রেন জার্নির ভালো দিক বলতে আমার কাছে অনেক দিকই ভালো মনে হয়, যেমন বাসে করে ভ্রমণ করলে রাস্তায় যানজটে আটকাতে হয় এবং হটাত বাস ড্রাইভার ব্রেক করলে সিট একটা ঝাকিয়ে উঠে, এইসব সমস্যা ট্রেনে পাওয়া যায় না। আবার অপরদিকে ট্রেনে কিন্তু খাবারের ব্যাবস্থাও থাকে, যার জন্য কখনো ক্ষুদা লাগলে আপনারা আপনাদের ইচ্ছামতো খাবার ও খেতে পারবেন। এই জিনিস গুলো বাসের তুলনায় ট্রেনের ক্ষেত্রে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে।
ট্রেন জার্নির খারাপ দিক : ট্রেন জার্নির সবচেয়ে খারাপ দিক হলো ট্রেনের শব্দ, ভাই রে ভাই পুরো মাথা হ্যাং হয়ে যায় এই শব্দে। আরেকটা খারাপ দিক হচ্ছে হিজরাদের ধারা ট্রেন যাত্রীদের মানহানীর ব্যাপারটা। আমার চোখে ট্রেন জার্নির আর কোন খারাপ দিক আছে বলে মনে হয় না। আর ট্রেনের চেয়ারের অবস্থাও অনেক খারাপ ছিলো এবং নোংরাও ছিলো। ( আমার নিজের ব্যাক্তিগত মতামত, আপনাদের সাথে নাও মিলতে পারে )
ট্রেন জার্নির মোট সময় : আমাদের যাত্রা শুরু হয়েছিলো সিলেট রেলস্টেশন থেকে ভোর ৬ টা ১৫ মিনিটের সময় এবং আমরা শ্রীমঙ্গল রেলস্টেশনে যেয়ে পৌছাই সকাল ৮ টা ৪৫/৫০ মিনিটের সময়। সুতরাং বলাই যায় আমরা প্রায় ২ ঘন্টা ৩০/৪০ মিনিট জার্নি করেছিলাম।
ট্রেনের সার্ভিস রেটিং : ট্রেনের সার্ভিস আমার কাছে সব সময়ই ভালো লাগে। কিন্তু আমি যেই ট্রেনে ভ্রমণ করেছিলাম, অর্থাৎ জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ট্রেনটার বিভিন্ন বগি এবং সিটের অবস্থা খুবই খারাপ ছিলো, সিট সামনে বা পিছনে হেলান দিলে আবার সোজা হয়ে যেতো। তাই ট্রেনের স্টাফ এবং বাহ্যিক ও ভিতরের সব কিছু মিলিয়ে আমি জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ট্রেনের সার্ভিসকে ০৭/১০ দিবো।
ট্রেন জার্নির সতর্কতা : নিজ নিজ জিনিস পত্র নিজ নিজ দায়ীত্বে রাখবেন এবং হিজরা দেখলেই তর্কাতর্কি না করে ১০ টাকা দিয়ে বিদায় জানাবেন অন্যথায় আপনার মান সম্মান ধুয়ে দিতে ওদের ১০ মিনিটও লাগবে না। আর হ্যা - ছোট বাচ্চাদের সাথে নিয়ে গেলে, খেয়াল রাখবেন যেনো ওরা জানালা দিয়ে হাত বা মাথা না বের করে তার দিকে। কখনো মোবাইল বা ক্যামেরা জানালা বা দরজা দিয়ে বের করবেন না। অন্যথায় চুরি হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি - কারন মাঝেমধ্যে ট্রেনের বগির উপরেও অনেক চোররা হাটাহাটি করে চুরি করার জন্য।

ট্রেন কর্তৃপক্ষের প্রতি উপদেশ : ট্রেনে হিজরাদের না উঠার ব্যবস্থা করলে অনেক বেশি ভালো হয় প্রত্যেকটা যাত্রীদের জন্য। আশা করি আপনারা ব্যাবস্থা নিবেন - এবং ট্রেনের মেইনটেইনেন্স এর দিকে খেয়াল রাখবেন, কারন সিলেট-ঢাকা রুটের জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ট্রেনের সিট এবং বগি দুটির অবস্থাই অনেক খারাপ ছিলো - অগ্রীম ধন্যবাদ

পুরো ভ্রমণের ভিডিও লিংক কিভাবে দেখবেন?

আমার ইউটিউব চ্যানেলে অলরেডি ভিডিও আপ্লোড করা আছে, আপনারা যারা ভিডিওটি দেখতে চান ,তারা নিচের বাটনটি তে ক্লিক করুন।

ভিডিও দেখতে উপরে ক্লিক করুন

পুরো রিভিউটা মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য আপনাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ, রিভিউটা কেমন লাগলো, কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না কিন্তু।

যেকোন প্রয়োজনে আমাকে মেইল করুন - ets2ridoy@gmail.com

Post a Comment

0 Comments