ঢাকা - চট্টগ্রাম বাস জার্নি | হানিফ এন্টারপ্রাইজ ভলভো এসি বাস ভ্রমণ | ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম বাস | বাস জার্নি রিভিউ - ০৯

রিভিউ টপিক : আজকের ভ্রমণ গল্পতে আমি মুলত হানিফ এন্টারপ্রাইজ কোম্পানির ভলভো এসি বাস ভ্রমণ করে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার জার্নি অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আমার এই রিভিউটি আপ্লোড করা হয়েছে jounykothabd.com ওয়েবসাইটে এবং এইটা বাস জার্নি রিভিউ - ০৯

ছবি কারিগর - সমুদ্র সৈকত

রিভিউ ক্যাটাগরি : বাস ভ্রমণ
রিভিউ নাম্বার : ০৯
বাস কোম্পানীর নাম : হানিফ এন্টারপ্রাইজ
বাসের রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার : ঢাকা মেট্রো ব ১৪-৫৭৭১
ড্রাইভার : বিল্লাল ভাই
ভ্রমণের তারিখ : ২৭ই মার্চ ২০২৩

ঢাকা - চট্টগ্রাম বাস জার্নি রিভিউ - ০৯

মূলত নন এসি বাসে করে যাবার কথা ছিল। পরে কি মনে করে ভলভোর কাউন্টারে ঢুকে শুনি বেশ ভাল ডিস্কাউন্টে টিকিট সেল করতেছিল তাই পরে কিছু না ভেবেই ভলভো তে করি(যেহেতু আমি ভলভোর ফ্যান) - এই রিভিউটি আপ্লোড করা হয়েছে journeykothabd.com ওয়েবসাইটে - এখানে উল্লেখ্য যে শ্যামলী হুন্দাই,দেশ হুন্দাই ১৪০০ র নিচে যাবে না আর রবি হুন্দাই ১০০০ চাইছিল।তো যাই হোক রাত সাড়ে ১১ টাফ দিকে কলাবাগান ছেড়ে চট্টগ্রাম এর উদ্দেশ্যে রওনা দেই।অনেকদিনের খুব ইচ্ছা ছিল ম্যানুয়াল ভলভো তে উঠবো,,অবশেষে তা পূরন হইলো...

লেগস্পেস

স্টিয়ারিং
 
বাসের কন্ডিশন বেশি ভাল ছিল না। যাত্রী ছিল মাত্র ৮ জন। রাত ১২ টা নাগাদ আরামবাগ ত্যাগ করি।এরপর ফ্লাইওভার ক্রস করে হাইওয়ে তে উঠে ধীরেসুস্থে আগাতে থাকি।একে একে সেন্টমারটিন স্লিপার,গ্রামীন এসি আরেকটা সেমিলোকাল আমাদের ওটি দেয়।আরেকটু সামনে যেতেই একুশে এক্সপ্রেস আমাদের পিছে ফালায় যায়। কিছুক্ষন পর দুই তাউরাশ এনা (একটা কক্সের লাল আরেকটা বাবু ভাইয়ের) হাতে ওটি খাই।মেঘনা টোল প্লাজায় টোল দিয়ে হিমাচলের কাছে পিকাপে হার মানে ভলভো।তবে দাউদকান্দি যেতে কিছুটা প্রান ফিরে পায়।ইউনিক,সেন্টমারটিন স্লীপার একসাথে কট,,,কিছুদূর যেতেই শ্যামলী এন আর নন এসি কট।


তারপর বিরতি হোটেলে ১০ মিনিট দাঁড়ায় চেকারের জন্য আর বলতেছিল আরো সামনে গেলে কেমন হয়(যেহেতু সেহেরীর টাইম অনেক্ষন আছে তাই,,,তাছাড়াও সেহেরির জন্য একটু ভেল্কামি করেই চালানো),,,এই বলে তাজমহল এর উদ্দেশ্য যাত্রা - এই রিভিউটি আপ্লোড করা হয়েছে journeykothabd.com ওয়েবসাইটে -  আবার সামনে এগুতে সেন্টমারটিন স্লিপার,এস আলম,শ্যামলী  কে পিছে ফেলে হোটেল তাজমহল এ প্রবেশ।


৩০ মিনিটের ব্রেক শেষে সেন্টমারটিন স্লীপারের পাইলটের সাথে ইশারা দেয় খেলা হবে।কিন্তু কিছুদূর যেতে না যেতেই টাইম স্কয়ারের সামনে ট্রাক এক্সিডেন্টের কারনে জ্যাম লাগে যা এক ঘন্টা বসে ছিলাম।মহিপাল ক্রস করার পর সেন্ট স্লীপারকে ইচ্ছা করে ছেড়ে দেয়,সেই সুযোগে বরিশালের ইউনিক,সৌদিয়া আর রবি এক্সপ্রেস হুন্দাই(বান্দরবান) ওটি দিয়ে চলে যায়।


বারইহাটের দিকে হানিফ নন এসির কাছে ওটি খেলে ভলভো আবার মুডে ফিরে আসে দেন কয়েক মিনিটের ব্যবধানে হানিফ,গ্রিনলাইন ডিডি,সৌদিয়া নন এসি,সিল্কি,মারসা কট,,,এরপর মিরসরাই তে শ্যামলী হুন্দাই এর সাথে ফরমুলা ১ এর মতো রেসিং করতে থাকে।সেই সুবাদে ভলভো আর হুন্দাই এর শক্তিক্ষমতাও দেখা হলো।দুই দানব মিলে গ্রিন লাইন এভার,সেন্টমাটিন পরিবহন নন এসি পিছনে ফেলে অবশেষে শ্যামলী হুন্দাইকে হারায় ভলভো।অবশেষে সাড়ে ৫ টায় সিটি গেট ক্রস করি।


মন্তব্য: পজিটিভ দিক বলতে ছিল বাসের ড্রাইভিং সাইডটাই,,,তাছাড়া বাসের কন্ডিশন খুব বেশি ভাল ছিল না।কেমন ভাপসা গন্ধ ছিল ।মূল কথা বিজনেস ক্লাস বাসে যেমনটা থাকার কথা ওইরকম ছিল না।সিটগুলো একটুও আরামদায়ক বলে মনে হলো না(অথচ আই শিফটের সিটগুলো আমার দেখা সেরা)।সিটের নেট ছিড়া,চার্জিং ফ্যাসিলিটি নাই।আর বাসের পিকাপ বেশ স্লো বলে মনে হইলো,,সেই ফায়দা নিয়ে বেশ কয়েকটা ১যে বাস বের হয়ে গেছিলো।অথচ আইশিফট ভলভোর পিকাপ বেশ ফাস্ট  পাইছিলাম।


সাস্পেনশন এর অবস্থাও ভাল ছিল না,,মনে হচ্ছিল নন এসি বাসে উঠেছি।আর হ্যা রোজার মাসেও ফজরের বিরতি দেয় নাই। এমন অবস্থায় আমার মন্তব্য একে হয় ইকো ক্লাস করা কিংবা ৮০০-১০০০ রেঞ্জে ভাড়ায় রাখলেও মন্দ হবে না। কেননা এর আগে যতগুলো ভলভো তে উঠেছিলাম এইরকম কন্ডিশন পাই নাই।বলতে গেলে আমাকে বেশ আশাহত করেছিল

রেটিং

ড্রাইভিং:৯/১০
সার্ভিস:৬/১০

পুরো রিভিউটা মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য আপনাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ, রিভিউটা কেমন লাগলো, কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না কিন্তু।

বাস যাত্রী / রিভিউ লেখকের নাম : Sadman Classic , আমাকে ফলো করতে আমার নামের উপর ক্লিক করুন এবং ফেইসবুকে যেয়ে ফলো করে দিন।

রিভিউটি কালেক্ট করা হয়েছে : ফেইসবুক ভিত্তিক গ্রুপ Bus Lover থেকে।

যেকোন প্রয়োজনে আমাকে মেইল করুন - ets2ridoy@gmail.com

Post a Comment

0 Comments