ঢাকা - কক্সবাজার বাস জার্নি | সোহাগ প্রেস্টিজ ডাবল ডেকার এসি বাস ভ্রমণ | ঢাকা থেকে কক্সবাজার বাস | বাস জার্নি রিভিউ - ১

 রিভিউ টপিক : আজকের ভ্রমণ গল্পতে আমি মুলত সোহাগ প্রেস্টিজ ডাবল ডেকার এসি বাস ভ্রমণ করে ঢাকা থেকে কক্সবাজার যাওয়ার জার্নি অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আমার এই রিভিউটি আপ্লোড করা হয়েছে journykothabd.com ওয়েবসাইটে এবং এইটা বাস জার্নি রিভিউ - ১১

ছবি কারিগর - সাজিদ ও পাখি ফটোগ্রাফী
রিভিউ ক্যাটাগরি : বাস ভ্রমণ
রিভিউ নাম্বার : ১১
বাস কোম্পানীর নাম : সোহাগ প্রেস্টিজ
বাসের রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার : ঢাকা মেট্রো ব ১৫-৮৪৯৭
ড্রাইভার : শাহিন ভাই
ভ্রমণের তারিখ : ২ অক্টোবর ২০২৩

ঢাকা - কক্সবাজার বাস জার্নি রিভিউ - ১১

বাস কলাবাগান থেকে ১০:১৫ তে ছাড়ার কথা ছিলো তবে জ্যাম খেয়ে আসতে কিছুটা দেরি হওয়ায় ১০:৩০ এর মতো বাজে। আবারও কিছু জ্যাম পেরিয়ে আরামবাগ ছাড়তে ৩০ মিনিট বিলম্বে প্রায় ১১:৩০ বাজে।


তারপর বাস খুব স্মুথলি আগাতে থাকে। তবে ট্রাকের প্রেশার বেশি থাকায় দাউদকান্দি ব্রিজ অবদি যেতে ভালোই সময় লাগে। এরপর রোড তুলনামূলকভাবে ফাঁকা ই থাকে - এই রিভিউটি আপ্লোড করা হয়েছে journykothabd.com ওয়েবসাইটে - এই সময়ে ৭০-৮০ তে ক্রুজ করে যাচ্ছিলাম আমরা। সো, লং রুটের অনেক এসি,নন-এসি বাসের কাছে ওটি খেতে হয়।


 রাত প্রায় ১:৫০ এর দিকে কুমিল্লার হাইওয়ে ইনে বিরতি দেয়। আধ ঘন্টার মধ্যে বের ও হয়ে যায়। কিছু দূর যাবার পর রবি এক্সপ্রেস ৬১৪ আর গ্রিন লাইন ১৩৬৪ ওটি দেয় ও কিছুক্ষণের মধ্যে অদৃশ্য ও হয়ে যায়। এদিকেও রাস্তা মোটামোটি ফাঁকা ই ছিলো তবে আমাদের গতি ৮০ এর আশে পাশেই ছিলো যেটা আমি একদম পজিটিভলি নিয়েছি। রাত ৪:৩০ এর দিকে ভাটিয়ারি থেকে বায়েজিদ লিংক রোডে ঢুকে যাই।


এরপর শহর পেরিয়ে ভোর ৫ টার দিকে শিকলবাহা ক্রসিংয়ে ফজর নামাজের বিরতি দেয়। নামাজ আদায়ের পর ভেরের প্রথম আলোকছটা দেখতে দেখতে আবার কক্সের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করি। এই সময়টায় আকাশ অনেক সুন্দর লাগতেছিলো - এই রিভিউটি আপ্লোড করা হয়েছে journykothabd.com ওয়েবসাইটে - যাই হোক, কক্স রোডে আমরা আস্তে ধীরে এগোতে থাকি আর আমি E3 তে বসে সুর্যোদয় উপভোগ করি।এই টিন্টেড গ্লাসেও মোটামোটি ভালো ভিউ পাওয়া যাচ্ছিলো। কক্স রোডে অনেক যায়গায় রাস্তা কাটা আর ভাঙ্গা থাকায় একটু প্যারা ই খেতে হয়।


৬:৩০ এর দিকে হোটেল ফোর সিজনস এ ১৫ মিনিটের একটা বিরতি দেওয়া হয়। আবার পথচলা শুরু হয়।আমি F2 তে এসে বসি। এই সময়ে রাস্তায় থ্রি হুইলারের সংখ্যা অনেক বেড়ে যায় যেগুলাকে পাশ কাটিয়ে অবশেষে সকাল ৮:১৫ তে আমার গন্তব্যস্থলে পৌছাই।

বাস:এর সৌন্দর্য নিয়ে তেমন কিছু বলার নেই। তবে এর অভারল কন্ডিশন এখনো স্যাটিসফ্যাক্টরি না। ভালো রোডে খুব ই ভালো চলে। মাঝারি ও বড় ভাংগাচুরা রোড হলে নয়েস ভিতরে ভালোই হয়। আর বাসে ভাইব্রেশন ও ছিলো(মূলত ৩/৪নং গিয়ারে এক্সিলারেট করতে গিয়েই বেশি ভাইব্রেট করতেছিলো)। আর সাস্পেনশন টা চলনসই মনে হইছে আমার। তবে এতে করে রোড ফিলটা আবার ভালো পাওয়া যায়।


সিট: সিটটা মোটামুটি কমফোর্টেবল। তবে এদের লেগরেস্ট টা সাইজে বেশ ছোটো লাগছে( আমার পায়ের অর্ধেক) যা বিরক্তিকর। লেগস্পেস E রো ছাড়া বাকিগুলায় কম। বাকিসব ঠিকঠাক।

চালক: উনার ড্রাইভিং খুব ই স্মুথ। ড্রাইভিং সেন্স ও অনেক ভালো। হাইওয়ে তে মোস্ট অফ দা টাইম ক্রুজ কন্ট্রোল করতেছিলো। স্পিড মেইনটইনও সুন্দর ছিলো। তবে অল্প কয়েকটা হার্ডব্রেক করেছে যার বেশিরভাগই সংগত কারণে। তার সহকারী ও এক্টিভ ছিলো, অন্যান্য বেশিরভাগ বাসের মতো সোহাগের হেল্পার ভাইরা ঘুমাতে চলে যায়না।

সার্ভিস: টাইম ম্যানেজমেন্ট এ একটু নড়বড়ে ছিলো তারা যা নেগলিজিবল। এছাড়া সার্ভিস ভালো, অভিযোগ করার কিছুই নেই। ব্যাবহার ও বাসের ক্লিনলিনেস ভালো ছিলো - এই রিভিউটি আপ্লোড করা হয়েছে journykothabd.com ওয়েবসাইটে - তাদের টিন্টেড আপার উইন্ডশিল্ডকে অনেকে কটুকথা বললেও পার্সোনালি আমার ভালোই লাগছে। রাতে উল্টোমুখি যানবাহনের লাইটের আলো চোখে লাগে না, মোটামোটি দেখাও যায়।

রেটিং

বাস: ১০/১০
কন্ডিশন: ৬.৫/১০
সিট: ৭.৫/১০
চালক: ৯.৫/১০
সহকারী: ১০/১০
গাইড: ৯/১০
সার্ভিস: ৯/১০
অভারল: ৮/১০

পুরো রিভিউটা মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য আপনাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ, রিভিউটা কেমন লাগলো, কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না কিন্তু।

বাস যাত্রী / রিভিউ লেখকের নাম : Nabhan Ahsan , আমাকে ফলো করতে আমার নামের উপর ক্লিক করুন এবং ফেইসবুকে যেয়ে ফলো করে দিন।

রিভিউটি কালেক্ট করা হয়েছে : ফেইসবুক ভিত্তিক গ্রুপ Bus Lover থেকে।

যেকোন প্রয়োজনে আমাকে মেইল করুন - ets2ridoy@gmail.com
 

Post a Comment

0 Comments