কক্সবাজার - ঢাকা বাস জার্নি | লন্ডন এক্সপ্রেস,আনকাই এসি বাস ভ্রমণ | কক্সবাজার থেকে ঢাকা বাস | বাস জার্নি রিভিউ - ১৩

রিভিউ টপিক : আজকের ভ্রমণ গল্পতে আমি মুলত লন্ডন এক্সপ্রেস,আনকাই এসি বাস ভ্রমণ করে কক্সবাজার থেকে ঢাকা যাওয়ার জার্নি অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আমার এই রিভিউটি আপ্লোড করা হয়েছে journeykothabd.com ওয়েবসাইটে এবং এইটা বাস জার্নি রিভিউ - ১৩

ছবি কারিগর - রাইয়াত ইসলাম
রিভিউ ক্যাটাগরি : বাস ভ্রমণ
রিভিউ নাম্বার : ১৩
বাস কোম্পানীর নাম : লন্ডন এক্সপ্রেস
বাসের রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার : ঢাকা মেট্রো ব ১২-২৮২৬
ক্লাস : বিজনেস ক্লাস
সিট : আলফা ১,২,৩
ভ্রমণের তারিখ : ২০ই অক্টোবর ২০২৩

কক্সবাজার - ঢাকা বাস জার্নি রিভিউ - ১৩

আমাদের বাস ৯:৪৫ এ স্টার্টিং করে সব কাউন্টার ঘুরে সবশেষে আমাদের নিয়ে রাত ১০:৩০ এ যাত্রা শুরু করে। আমরা ৩ জন সহ গাড়িতে মোট যাত্রী ছিল ৬ জন। সিটে বসে গাড়ির সামনে তাকালে একে অনেকটা কোস্টারের মত লাগে।

টিকেট

 
স্টিয়ারিং

ফ্রন্ট ভিউ

 গাড়িতে উঠেই ভিতরে সবকিছু একবার দেখে নিলাম, এরপর সিটে বসে মোটামুটি আরামদায়ক লাগলো কিন্তু হালকা শক্ত, এরপর অবাক হই দেখে মাত্র ২ গিয়ার পর্যন্ত হেলানো যায় যা একটি ননএসি বাসের থেকেও কম। এছাড়া বিজনেস ক্লাস হিসেবে যে লেগস্পেস থাকার কথা তা নেই, এতে সকল যাত্রীরাই হতাশ হই। বাস রওনা দিতেই এর সাসপেনশন নিয়ে প্রশ্ন জাগে! সবকিছুতেই একটা নেগেটিভ ধারনা নিয়ে নিজেদের মধ্যে কথা বলতে বলতে ১২:২০ এ ফোর সিজন পর্যন্ত আসি।


এরপর ড্রাইভার সহ স্টাফদের সাথে কথা হয় এবং তারা খুবই ভালোভাবে আমাদের সাথে কথা বলেন। সেখানে জানান এয়ারব্যাগ এখনো ঠিকঠাক হয়নি, কিছুদিনের মধ্যে গ্যারেজে নিয়ে ঠিক করা হবে - এই রিভিউটি আপ্লোড করা হয়েছে journeykothabd.com ওয়েবসাইটে - নিয়তি মেনে নিয়ে আবারো আমরা ২০ মিনিট যাত্রাবিরতি শেষ করে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা করি। গাড়িতে উঠেই কম্বল জড়িয়ে ঘুম দিই এবং মদনপুর এসে ঘুম ভাঙ্গে। ড্রাইভার সাহেব তখন ফোনে কথা বলতেছিলেন... তখন শুনতে পাই তিনি আসলে এই গাড়ির কোনো ফিচার সম্পর্কে অবগত নন এমনকি এয়ার সাসপেনশন সুইচ কোথায় এটাও জানেন না, তাই ফোনে তিনি সেটা জানার চেষ্টা করছিলেন। এসব শুনে আমরা সবথেকে বেশি হতাশ হই। ততক্ষণে আমরা প্রায় সায়েদাবাদ.... সবকিছু গুছিয়ে ভোর ৬:২০ মিনিটে আমরা সায়েদাবাদ টোলে নেমে পড়ি।


সবকিছু শেষে কথা বলার মত কিছু পয়েন্ট রয়েছে যা সমাধান করলে সার্ভিস আরো ভালো হবে,
প্রথমত, ড্রাইভারকে ট্রেনিং এর ব্যাবস্থা করলে এভাবে সমগ্র পথ ঝাঁকি খাওয়া লাগতো না, এটা পুরাই আনপ্রফেশনাল কাজের উদাহরণ হিসেবে থাকলো। - এই রিভিউটি আপ্লোড করা হয়েছে journeykothabd.com ওয়েবসাইটে - এছাড়া সিট সামান্য হেলানো যায় যা বিজনেস ক্লাস হিসেবে মানানসই নয়, সাথে কম লেগস্পেস তো আছেই।( এর থেকে ৩৬ সিটের নন-এসিতেও লেগস্পেস অনেক অনেক বেশি থাকে)।

সিট সমুহ

লেগ স্পেস

তবে হিনো পি১১সি ইঞ্জিনে গাড়ির এক্সিলারেশন খুবই ভালো এবং আনলক থাকাতে গতিও ভালোই ছিল।
এবারের যাত্রায় স্টাফদের ব্যাবহার ও ইঞ্জিন কন্ডিশন ছিল ১০ এ ১০ পাওয়ার মত, বাকি ব্যাপারগুলো অনেকখানি প্রশ্নবিদ্ধ রয়ে গেছে।

শেষকথা হলো, কেউ এটাকে ১জে এসির রিপ্লেসমেন্টে হিসেবে চয়েস করতে পারেন কিন্তু কখনোই বিজনেস ক্লাস হিসেবে নয়।

পুরো রিভিউটা মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য আপনাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ, রিভিউটা কেমন লাগলো, কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না কিন্তু।

বাস যাত্রী / রিভিউ লেখকের নাম : Olyur Rahman , আমাকে ফলো করতে আমার নামের উপর ক্লিক করুন এবং ফেইসবুকে যেয়ে ফলো করে দিন।

রিভিউটি কালেক্ট করা হয়েছে : ফেইসবুক ভিত্তিক গ্রুপ Bus Lover থেকে।

যেকোন প্রয়োজনে আমাকে মেইল করুন - ets2ridoy@gmail.com

Post a Comment

0 Comments