রিভিউ টপিক : আজকের ভ্রমণ গল্পতে আমি মুলত রয়েল কোচ কোম্পানির এসি বাস ভ্রমণ করে ঢাকা থেকে কুমিল্লা যাওয়ার জার্নি অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আমার এই রিভিউটি আপ্লোড করা হয়েছে journeykothabd.com ওয়েবসাইটে এবং এইটা বাস জার্নি রিভিউ - ১৭
ছবি কারিগর -অর্নব ইসলাম |
রিভিউ নাম্বার : ১৭
বাস কোম্পানীর নাম : রয়েল কোচ
বাসের রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার : ঢাকা মেট্রো ব ১৫-৭৮২৭ (সাবেক বাগদাদ)
বাস রুট : ঢাকা - কুমিল্লা
পাইলট : ইমরান মামা
ভ্রমণের তারিখ : ৩ মার্চ ২০্২১
ঢাকা - কুমিল্লা বাস জার্নি রিভিউ - ১৭
গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে যাত্রা করে কমলাপুর এসে শুনি সকাল থেকেই কাউন্টারে যাত্রীর বেশ চাপ! যাক তাও কোনমতে ১০টার টিকেট পেলাম।
টিকেট - ১ |
টিকেট - ২ |
ফ্রন্ট সাইড ভিউ |
বেক সাইড ভিউ |
মজার পার্ট এখান থেকে শুরু, গাড়িতে পাইলট ও সুপারভাইজারের কথোপকথন শুনেই বুঝে গেলাম পাইলট কুমিল্লা-চাঁদপুর রুটের ড্রাইভার যিনি এখন থেকে রয়েল কোচেই গাড়ি চালাবেন। এমনকি সুপারভাইজার ছাড়াও সাথে যে আরেকজন স্টাফ থাকে সে ও নতুন। তো এই রুটে আমাদের নিয়ে আজকেই তার প্রথম ট্রিপ ছিল। যেহেতু হুট করে উনার রুট পরিবর্তন হয়েছে সেহেতু রাস্তার সার্বিক পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নিতে উনার একটু সময় লেগেছে।
সিট ১ |
সিট ২ |
কাউন্টার ছেড়ে কোন রাস্তা দিয়ে ঢাকা থেকে বের হবেন সেটাও তার অজানা ছিল। গত কয়েকদিনের ব্যাবধানে বিভিন্ন রুটে ছোট-বড় বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনা হয়েছে সেটা সবারই জানা। যার জন্যে মনে একটা অনিশ্চয়তা কাজ করছিলো। মনে মনে আল্লাহ্ আল্লাহ্ করছিলাম..কারণ একবার কানে চলে এসেছে 'উনি এই রুটে আজকে প্রথম'! কিন্তু মেঘনা পার হবার পর থেকেই আস্তে আস্তে উনার ড্রাইভিংয়ে ব্যালেন্স চলে আসলো এবং আমরা কিছুটা স্বস্তি পেলাম। কিন্তু একটা কথা না বললেই নয়, উনার ড্রাইভিং স্কিল এবং ব্যবহার যথেষ্ট ভালো।
ড্যাশবোর্ড |
কয়দিন নিয়মিত ড্রাইভ করলে এই রুটের একজন পাঙ্খা পাইলট হিসেবে নাম ডাক ছড়িয়ে যাবে। সুপারভাইজারও বেশ আন্তরিক ছিলেন। ড্রাইভিং দেখতে দেখতে ১২টার একটু আগেই কুমিল্লা পৌঁছে গেলাম। কোনো রুটে প্রথম ট্রিপ নিয়েও পাইলট যথাসময়ে পৌঁছে দিবে সেটা সত্যিই অবাক করার মতো। কোনো পারাপারি বা অতিরিক্ত গতি তুলেননি.. সর্বোচ্চ গতিসীমা ৮০/৮৫ কিঃমিঃ এর মত ছিলো। অতঃপর নেমে যাওয়ার সময় হয়ে আসলো.. ঝাগুরঝুলি বিশ্বরোড নেমে পাইলটকে বিদায় জানালাম এবং তিনিও হাসিমুখে বিদায় নিলেন। কুমিল্লাবাসীর পক্ষ থেকে নতুন রুটে তাকে স্বাগতম এবং অনেক শুভকামনা।
বাসের ব্যাপারে কিছু বলি
সম্প্রতি বাগদাদ এক্সপ্রেস থেকে তিন ইউনিট mitsubishi bm fuso বাস রয়েল কোচের ব্যানারে এসেছে। বাসগুলোর বডি বিল্ডার হচ্ছে 'Faizul Engineers'। ব্যাক্তিগতভাবে বাসের ফ্রন্টের চাইতে ব্যাকটি বেশি সুন্দর লেগেছে। কমফোর্ট আহামরি কিছুই ছিলনা তবে সিটগুলো ভালই লেগেছে। অ্যাক্সেলারেশন যথেষ্ট ভালো। ইঞ্জিনের শক্তি আছে বুঝা যাচ্ছিলো। ইঞ্জিন সাউন্ডও বেশ অগ্রেসিভ লাগলো। যদি এরকম পারফরম্যান্স ধরে রাখে তাহলে মিৎসুবিশিও কোনো অংশে খারাপ না।
ওভারল খুব ভালো একটা জার্নি উপভোগ করলাম।
পুরো রিভিউটা মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য আপনাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ, রিভিউটা কেমন লাগলো, কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না কিন্তু।
বাস যাত্রী / রিভিউ লেখকের নাম : Afsan Sakin , আমাকে ফলো করতে আমার নামের উপর ক্লিক করুন এবং ফেইসবুকে যেয়ে ফলো করে দিন।
রিভিউটি কালেক্ট করা হয়েছে : ফেইসবুক ভিত্তিক গ্রুপ BD BUS LOVER থেকে।
যেকোন প্রয়োজনে আমাকে মেইল করুন - ets2ridoy@gmail.com
0 Comments